দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থিক খাতের সাম্প্রতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হুমায়ুন রশীদ এভাবেই তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আগামীতে বাজার আরও চাঙ্গা হবে। আমি বিশ্বাস করি, সামনের দিনগুলোতে ব্যবসা আরও বেশি লাভজনক হয়ে উঠবে।”
এই সাধারণ সভায় অন্যান্য বোর্ড পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের উপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম। বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চ সুদহার, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ও মুদ্রাস্ফীতি জনিত কারণে এই বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো নগদ লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) প্রদান করা হবে না।
এই সময় শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হুমায়ুন রশীদ বলেন, “বর্তমানে সারা বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতি, যুদ্ধ ও সংঘাতের মতো নানা সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে, এই বছর আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের কোনো নগদ লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” একইসাথে, তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই সঙ্কট মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের অংশীদাররা এতোদিন আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। আগামীতেও আমাদের প্রতি তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী আমরা।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org