দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল।
তারপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন ইধিকা। ঢালিউডের পর টলিউডে পা দিয়েও বেশ সফল হন ইধিকা। এরপর দেবের সঙ্গে ‘খাদান’ সিনেমা ব্লকবাস্টার হয়েছে, যা তার ক্যারিয়ারে বড় একটি মাইলফলক।
মূলত ইধিকার পথচলা ছোট পর্দা দিয়ে শুরু হলেও শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ ও দেবের ‘কিশোরী’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি দুই পরিচয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও তেমন কোনো আলোচনা হয়নি ইধিকার, তবে তার জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের কৌতূহলও দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে।
বর্তমানে শোনা যাচ্ছে, টলিপাড়ার খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের সঙ্গে বেশ কিছু সময়ও কাটাচ্ছেন ইধিকা। সম্প্রতি তারা হিমাচলের ছিটকুলে একসঙ্গে বেড়াতে যান। তবে তাদের সঙ্গী ছিলেন কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব। দু’জনের পাহাড়ের ওপর কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি ঘিরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। বেশিরভাগ নেটিজেনেরই প্রশ্ন, ইধিকা কি প্রেম করেছেন তথাগত ঘোষের সঙ্গে?
ইতিপূর্বেও তথাগত ঘোষের নাম বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে জড়িয়ে খবর প্রকাশ পায়, যেমন অনুষা বিশ্বনাথন ও প্রিয়াঙ্কা সরকার। তবে কখনও তারা সরাসরি এইসব সম্পর্ক নিয়ে মুখই খোলেননি। তথাগত ও অনুষা একসঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরাবন্দিও হয়েছেন, এখন নতুন প্রেমের গুঞ্জন উঠেছে ইধিকাকে নিয়ে। তবে ইধিকা নিজের প্রেম জীবন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই জানাননি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org