দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এ ফরচুন বরিশালের স্পনসর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বৈশ্বিক গাড়ি ব্র্যান্ড ওমোদা অ্যান্ড জাইকোর বাংলাদেশের বিশেষ পরিবেশক এশিয়ান ডিস্ট্রিবিউশনস লিমিটেড।
স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে গভীর সংযোগ স্থাপন এবং অত্যাধুনিক অটোমোটিভ প্রযুক্তি এবং ক্রিকেট বিশ্বের সংযোগ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে দলগত কাজ, উৎকর্ষ এবং উদ্ভাবনের অভিন্ন মূল্যবোধ উদযাপন করাই এই কৌশলগত স্পনসরশিপের লক্ষ্য। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ওমোদা অ্যান্ড জাইকো বাংলাদেশের শোরুমে ২৯ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত করতে আয়োজনের মূল আকর্ষণ হিসেবে হাজির ছিলেন ফরচুন বরিশালের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান এবং সিনিয়র ম্যানেজার খায়রুল আলম সহ প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এছাড়া, আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএলের ফরচুন বরিশালের মালিক মো. মিজানুর রহমান।খেলোয়ারসুলভ আচরণ এবং অটোমোটিভ শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিলাসবহুল ওমোদা অ্যান্ড জাইকো গাড়ির পাশাপাশি, তামিম ইকবালের সাথে বিশেষ ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শেষ হয়।
বাংলাদেশের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করার পাশাপাশি, এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব ওমোদা অ্যান্ড জাইকো বাংলাদেশের জন্য নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং নান্দনিক ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত এই ব্র্যান্ডগুলো মাঠে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত ফরচুন বরিশালের চেতনার সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ। ফরচুন বরিশাল বিপিএল ২০২৪ -এর চ্যাম্পিয়ন দল।
এই বিষয়ে এশিয়ান ডিস্ট্রিবিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, “ওমোদা অ্যান্ড জাইকো বাংলাদেশ এবং ফরচুন বরিশালের মধ্যে এই অংশিদারিত্ব শ্রেষ্ঠত্ব, উৎকর্ষ এবং উদ্ভাবনের প্রতি আমাদের নিরলস প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। এই চুক্তি দেশের সাথে আমাদের সংযোগকে জোরদার করবে; একইসঙ্গে, উন্নতিকে অনুপ্রাণিত করতে আমাদের অব্যাহত সহায়তার কথাও মনে করিয়ে দিবে। বিপিএলের চেতনা ধারণ করতে পেরে এবং তাদের সহায়তা করতে পেরে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত।”
চেরি অটোমোবাইল কোম্পানি লিমিটেডসহ একাধিক ব্র্যান্ডের মূল প্রতিষ্ঠান চেরি গ্রুপের মালিকানাধীন ব্র্যান্ড ওমোদা অ্যান্ড জাইকো। বিশ্বব্যাপী ইনটেলিজেন্ট টেকনোলজির প্রসারে অবদান রাখা চীনা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ওমোদা অ্যান্ড জাইকো। চেরি গ্রুপের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভেতরে এবং বাইরে অগ্রগতিকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ওমোদা অ্যান্ড জাইকো। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org