দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাইক্রোসফট আউটলুকে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। আর তাই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই আউটলুক ইনস্টল করে দেবে!

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অনেকেই ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য মাইক্রোসফট আউটলুকের পরিবর্তে গুগলের জিমেইল ব্যবহারেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর মূল কারণই হলো, মাইক্রোসফট আউটলুকে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় এর ব্যবহারকারীদের। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাস হতে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই হালনাগাদ সংস্করণের আউটলুক ইনস্টল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজের নিরাপত্তা হালনাগাদের অংশ হিসেবে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আউটলুক ইনস্টল করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
মাইক্রোসফট ৩৬৫ অ্যাডমিন সেন্টারের এক বার্তায় বলা হয়, মাইক্রোসফট ৩৬৫ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি হতে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই যন্ত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ আউটলুক ইনস্টল হলেও যন্ত্রের কনফিগারেশন কিংবা ডিফল্ট সেটিংসের কোনই পরিবর্তন হবে না। নতুন সংস্করণে আউটলুক ইনস্টল করা বন্ধও করা যাবে না, তবে ব্যবহারকারীরা চাইলেই ইনস্টল শেষে আউটলুক মুছেও ফেলতে পারবেন।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে জানা যায়, হালনাগাদ সংস্করণের আউটলুক ইনস্টল হওয়ার পরই স্টার্ট মেনুর অ্যাপস বিভাগে খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এটি ক্ল্যাসিক আউটলুক প্রতিস্থাপন করবে না ও কোনো কনফিগারেশন কিংবা ডিফল্ট সেটিংসও পরিবর্তন করবে না। ক্ল্যাসিক আউটলুক এবং নতুন আউটলুক উভয়ই একসঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যন্ত্র হতে আউটলুক মুছে ফেলতে হলে রিমুভ অ্যাপ এক্সপ্রোভিশন্ড প্যাকেজ কমান্ড ব্যবহার করতে হবে। তথ্যসূত্র : ব্লিপিং কম্পিউটার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org