দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেকিং, গ্রিলসহ নানা স্টাইলের রান্না নিয়ে শৌখিন হতে এখন আর বাধা নেই, কারণ স্যামসাং সম্প্রতি বাজারে এসেছে তাদের সবচেয়ে আধুনিক ৬টি মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

এই লাইন-আপের ওভেনগুলো মূলত ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর রান্না নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। স্যামসাংয়ের অংশীদার প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি হতে দেশেই নিজেদের কারখানায় এই ওভেনগুলোর অ্যাসেম্বলি কার্যক্রম শুরু করেছে। ওভেনে ব্যবহৃত প্রতিটি যন্ত্রাংশ স্যামসাং মালয়েশিয়ার কারখানা থেকে সরাসরি আমদানি করা হচ্ছে।
এই উপলক্ষে গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর আমারি ঢাকা হোটেলে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলো স্যামসাং। আয়োজনে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাং মিন জাং এবং স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ডিরেক্টর এবং হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফরসহ আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের চীফ অপারেটিং অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম ডিজিটালের হেড অব বিজনেস রিতেশ রঞ্জন, র্যানকন হোল্ডিংস লিমিটেডের ইলেকট্রনিক্সের বিভাগীয় পরিচালক ঈয়ামিন শরীফ চৌধুরী, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাহিদ আহমেদ আব্দুল্লাহ, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের ডিজিএম (প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেটিং) এ.এস.এম. মুনতাসির চৌধুরী সহ ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, র্যাংগস ইমার্ট, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল এবং বাটারফ্লাই বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
নতুন মডেলগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি ২৮ লিটার কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন (এমসি২৮একে, এমসি২৮ভিকে, এমসি২৮ভিএস), একটি ২৩ লিটার সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন (এমএস২৩একে), একটি ২৩ লিটার গ্রিল মাইক্রোওয়েভ ওভেন (এমজি২৩একে), ও একটি ২১ লিটার কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেন (সিই৭৬জেডি) ।
“কুক হেলদি, লিভ স্মার্ট” এই ধারণাটি মূলে রেখে বাজারে আসা স্যামসাংয়ের এই নতুন ওভেন লাইনআপটির বিশেষত্ব হলো, এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্নার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে, একইসঙ্গে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশেষ বিশেষ সব ফিচারের মাধ্যমে স্যামসাং তাদের এই প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছে। যেমন, ওভেনের স্লিম ফ্রাই টেকনোলজি’র মাধ্যমে ৮০ শতাংশ তেল সাশ্রয় করে স্বাস্থ্যকর উপায়ে যেকোনো ভাজা খাবার তৈরি করা যায়। এতে রয়েছে ট্রিপল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (টিডিএস), যা তিনটি মাইক্রোওয়েভ অ্যান্টেনার সাহায্যে রান্নার প্রতিটি অংশে সমানভাবে তাপ পৌঁছে দেয়। এতে আরো রয়েছে ১০ বছরের ওয়ারেন্টির আওতাধীন ডিউরেবল সিরামিক এনামেল কোটিং, যা তেল চিটচিটে রান্নার পরও ওভেন পরিষ্কারের ঝক্কি দূরে রাখে। এতে আরো রয়েছে কুইক ডিফ্রস্ট, ডিওডোরাইজেশন, ব্রাউনিং প্লাস অপশন, টার্নটেবল অন/অফ এবং ইকো মোডের মত চমৎকার সব ফিচার, যা ব্যবহারকারীদের জন্য রান্নার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি আনন্দময় করে তুলবে।
“গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা নিয়ে গবেষণা এবং সঠিক সমাধান বের করে আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। রান্নার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঝক্কিঝামেলা এড়াতে আমরা আমাদের মাইক্রোওয়েভ ওভেনে অভিনব সব ফিচার যোগ করছি। এমন উদ্ভাবনী সব ফিচার ও সুবিধা আপনি একসাথে অন্য কোনও ব্র্যান্ডে পাবেন না। এর ধারবাহিকতায়, আমাদের এই ৬টি মডেলের ওভেন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে আপনার প্রতিদিনের রান্নায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেবে, যে কারণে আপনার বাড়িতে রান্নার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে আরও স্মার্ট, খাবার হবে আরও স্বাস্থ্যকর”, বলেছেন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাং মিন জাং ।
সকল ট্রান্সকম ডিজিটাল, র্যাংগস ইমার্ট, ইলেকট্রা আউটলেট এবং স্যামসাং অনুমোদিত ডিলার স্টোরে বর্তমানে এই ৬টি মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যাচ্ছে মূল্য ১৮,৫০০ টাকা হতে শুরু। বিস্তারিত তথ্যের জন্য কল করুন স্যামসাং এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে ০৮০০০ ৩০০ ৩০০ (টোল ফ্রি)। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org