দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহরুখ খান ও ফারাহ খান একসঙ্গে প্রথম কাজ করেন সেই ২০০৪ সালে। অ্যাকশন-এন্টারটেইনার সেই সিনেমার নাম ‘ম্যায় হু না’। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায়। এই ছবির পর হতে শাহরুখ এবং ফারাহ একটি সফল জুটি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। তাদের প্রতিটি যৌথ প্রকল্পই বাণিজ্যিকভাবে সফলও হয়েছে।

সফল এই জুটিকে আবারও নতুন একটি সিনেমা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পিংকভিলার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট বলছে যে, ফারাহ খান বর্তমানে ‘ম্যায় হু না ২’ এর জন্য একটি চিত্রনাট্য তৈরি করছেন!
একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এর প্রযোজনায় ‘ম্যায় হু না ২’ তৈরির পরিকল্পনাও চলছে। শাহরুখ এবং গৌরী খানের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজের প্রথম সিনেমা ছিল এই ‘ম্যায় হু না’। তাই এই ছবির প্রতি তাদের বিশেষ আবেগও জড়িয়ে রয়েছে।
ফারাহ ইতিমধ্যেই সিনেমাটির জন্য একটি খসড়া প্ল্যানও করেছেন। যা শাহরুখ খুব পছন্দও করেছেন বলে জানা যায়। বর্তমানে ফারাহ সহ-লেখকদের সঙ্গে বসে চিত্রনাট্য তৈরির কাজও করছেন।
শাহরুখ জানিয়েছেন, দুর্দান্ত চিত্রনাট্য ছাড়া শুধুমাত্র সিকুয়েল তৈরির পক্ষে নই আমি। নতুন ছবির গল্প প্রথম কিস্তির চেয়েও শক্তিশালী হলে কেবলমাত্র তিনি সিকুয়েল করতে রাজি হবেন। ২০২৫ সাল অর্থাৎ এ বছরের মাঝামাঝি সময় ‘ম্যায় হু না ২’ এর চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়া শুনবেন শাহরুখ এবং তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘ম্যায় হু না’ ছাড়াও শাহরুখ-ফারাহ জুটি ‘ওম শান্তি ওম’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এ একসঙ্গে কাজ করেন। ‘ম্যায় হু না ২’ নির্মিত হলে এটি হবে তাদের চতুর্থ সিনেমা।
অপরদিকে শাহরুখ খান বর্তমানে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘কিং’ ছবির কাজও করছেন, এই সিনেমাটি ২০২৬ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org