দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।
ইতামার বেন-গভির বলেছেন, ইসরায়েল ‘মধ্যপ্রাচ্যের হাসির পাত্র’ হয়ে উঠেছে। গতকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
নেতানিয়াহু সরকারের নিন্দা করে ইতামার বেন-গভির বলেছেন যে, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যের হাসির পাত্র হয়ে গেছি ও আমি নিশ্চিত নই যে, আমরা এখনও এটি উপলব্ধি করতে পারছি কিনা।”
ইতামার বেন-গভির বলেন, তিনিই “সরকারের একমাত্র মানুষ” যিনি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, তার এই অবস্থান গাজার “পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে পারতো।”
নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে ইতামার বেন-গভির বলেন, “আপনি শুধু বহিরাগত চাপের ওপর ভিত্তি করে শাসন করতে পারবেন না।”
তিনি বলেন, “আমাদের আজকে স্বেচ্ছায় অভিবাসনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি উদ্যোগও চালু করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সময় আছে, তবে ইসরায়েলের স্বার্থে, আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই।”
ইতামার বেন-গভির বলেন, “যতোক্ষণ না তারা (নেতানিয়াহু সরকার) হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে” ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি সরকারে ফিরে আসবেন না।
গত জানুয়ারিতে গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির বিরোধিতা করে নেতানিয়াহুর সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বেন গভির। তারপর থেকে তিনি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতে “স্বেচ্ছায় অভিবাসন” করানোর দাবিও করে আসছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org