দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব স্বাভাবিক একটি জিনিস আর তা হলো ঋতু পরিবর্তনের সময় পোষ্যদের অতি পরিচিত সমস্যা অতিরিক্ত লোম ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় কী করবেন? কীভাবে এড়াবেন এই সমস্যা?
তবে এই অতিরিক্ত লোম ঝরাকে একেবারেই হালকাভাবে নেওয়ার মতো বিষয় নয়। কোনও বড় রোগের লক্ষণও হতে পারে অতিরিক্ত পশম ওঠা। অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বললে তিনি জানান, বেশ কিছু কারণে অতিরিক্ত লোম ওঠার মতো সমস্যা তৈরি হতেও পারে। সেইসঙ্গে কীভাবে এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব, তাও জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।
কী ধরনের কারণে অতিরিক্ত লোম ঝরতে পারে আপনার পোষ্যের?
# একটি খুব সাধারণ কারণই হলো, ঋতু পরিবর্তন। এই সময় লোম ঝরার মতো সমস্যা তৈরি হতেই পারে, সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন গা আঁচড়ে দিলে, লোম ওঠার পরিমাণ খানিকটা কমতেও পারে।
# অনেক সময় গায়ের চামড়া অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
# লোম ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যদি ভীষণ রকমের চুলকানি লক্ষ্য করেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
# আবার পুষ্টির অভাব হলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতেই পারে।
# গায়ে এটুলি সংক্রমণ হলে লোম ঝরে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে মূলত এই ধরনের সংক্রমণও বেশি হয়। ছোট-ছোট পোকা ঘন লোমের আড়ালে থাকলে তা মোটেও চোখে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন এই পোকা গায়ে থাকলে তার কামড়ে জ্বরও আসতে পারে।
# খাবার থেকেও এই ধরনের সমস্যা তৈরি হযতে পারে। আপনি প্রতিদিন যা খান, তা আপনার প্রিয় পোষ্যর আবদারে তাকেও খাইয়ে ফেলেন অনেক সময়। তেল, ঘি, মসলা এমনকি প্যাকেজ়ড ফুডও অনেক সময় আপনার পোষ্যর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
এই সংক্রমণ রুখতে কী কী করবেন আপনি?
# পোষ্যের ত্বকের জন্য লেবুর রস খুবই উপকারী।
# নিমপাতা ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে সারা গায়ে মাখিয়ে ঘণ্টাখানেক রেখে গোসল করালে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে মুক্তি পেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই মিশ্রণ যেনো পোষ্যর পেটে না যায়।
# আপনার পোষ্যটিকে নিয়মিত দই ভাত দিন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ত্বকও ভালো থাকবে।
# যদি আপনার পোষ্যকে ডগ ফুড খাওয়ানোর অভ্যাস থাকে তাহলে দোকান থেকে খাবার কেনার সময় অবশ্যই খাবারের উপকরণ ভালো করে দেখে নিন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org