দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন একটি ঝকঝকে লাল টেসলা গাড়ি কিনেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কেনার সময়ই তিনি বলেছেন যে, তিনি এই গাড়ি চালাবেন না। -খবর ভয়েস অফ আমেরিকার।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি একটি টেসলা কিনতে যাচ্ছি, তবে খারাপ খবর হলো, আমার গাড়ি চালানোর অনুমতিই নেই।
ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতিই নেই। নিরাপত্তা বিবেচনায় এই নিয়ম করা হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য এই নিয়ম জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং তাদের পরিবারের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে এই নিরাপত্তা বাহিনী।
তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কেনো কিনলেন টেসলা?
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, তিনি তার কোম্পানির কাছ থেকে একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাকে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত দেখাতেই এই কাজটি করেছেন।
মাস্ক গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মেয়াদের প্রশাসনে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংকোচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেন যে, সত্যিকার মহান আমেরিকান, ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা এবং সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে তিনি একটি নতুন টেসলা গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন। শেয়ার বাজারে টেসলার স্টক মূল্যের পতন হওয়াতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তার কোম্পানিটি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কী আর কখনই গাড়ি চালাতে পারবেন না?
২০২৩ সালের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষের। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা অন্যান্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের এক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তাদের আর গাড়ি চালানোর অনুমতিই থাকে না।
সিক্রেট সার্ভিসের উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এজেন্টরা গাড়ি চালান ও প্রেসিডেন্ট কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই গাড়িতে চলাফেরা করেন। যদিও এই বিষয়ে দেশটিতে কোনও আইন নেই, তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
খুব যদি ইচ্ছে করে চালাতে তাহলে বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতরেই কেবলমাত্র চালাতে পারবেন, যেমন চালিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর রনাল্ড রেগ্যান কিংবা জর্জ ডব্লিউ বুশ তাদের র্যাঞ্চে।
ইতিহাসবিদ ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এইচ.ডব্লিউ. ব্র্যান্ডস সিয়াটল টাইমসকে বলেছেন যে, লিন্ডন জনসন সম্ভবত শেষ প্রেসিডেন্ট যিনি প্রধান একটি সড়কে নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করেছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org