দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একবার সম্পর্ক ভাঙার পর নতুন সম্পর্কে জড়াতে অনেকের মনেই ভয় কাজ করে। অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক, এমনটি আর কেওই চায় না।
যদি অতীতের অভিজ্ঞতা তিক্ত হয়, আর এক্স যদি টক্সিক হয়, তাহলে আরও বেশ ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হয়। এছাড়াও অতীতের সম্পর্ক থেকে বের হতেও অনেকের সময় লাগে। এরপর আবার যদি মন ভাঙে, নিজেকে সামলানো কঠিনই হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে প্রেমের উপর থেকে বিশ্বাসও উঠে যায়। চট করে কাওকে বিশ্বাস করতে পারেন না তখন। তাই দ্বিতীয়বার সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে নিজেকে সামলানোটা দরকার। খেয়াল রাখা দরকার নীচের এই কয়েকটি বিষয়ের উপর।
সৎ থাকুন
পুরনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে বেশ সময় লাগে। এই সময় নিজের কাছে ও পার্টনারের কাছে সৎ থাকতে হবে। আপনি সম্পর্কটি নিয়ে কী ভাবছেন, আপনার মনের ভিতরে কী চলছে, সেই বিষয়েও সঙ্গীর সঙ্গেও কথা বলুন। অতীতের ঘটনা ভুলতে পারেননি, সেটিও কিন্তু তাকে জানানো দরকার। অথবা অতীতের মতো সমস্যায় আপনি আর পড়তে চান না, সেটিও জানাতে ভুলবেন না।
নিজেকে গুরুত্ব দিন
এই নতুন সম্পর্ক থেকে আসলে আপনি কী চাইছেন, সেই বিষয়ে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকুন। আপনি আদৌ এই নতুন মানুষের সঙ্গে থাকতে চাইছেন কি-না, অথবা নতুন মানুষের কাছ থেকে আপনি কী চাইছেন, সেটি আগে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। এরপর সেটিও সঙ্গীকে জানান। আপনি সত্যিই যদি সম্পর্কটি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে সবার আগে নিজের চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কেও সচেতন থাকুন।
কিছুটা সময় দিন
টানা কয়েক সপ্তাহ দেখা করে, আড্ডা দিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। কম সময়ের মধ্যে কিন্তু বোঝা যায় না, এই সম্পর্ক আগামী দিনে কী পরিণতির যাচ্ছে। রেড ফ্ল্যাগ হতে পারেন পার্টনার। তাই সময় দিতে হবে। একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে। বন্ধুর মতো করেই মিশুন। যতোক্ষণ না পর্যন্ত আপনি এই নতুন মানুষটির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন, সুরক্ষিতও অনুভব করছেন, ততোক্ষণ সম্পর্ক পাকাপাকি করবেন না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org