দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র দশ দিন আগে, উন্মোচিত হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে ঝড় তুলেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৬। সুপারফাস্ট কানেক্টিভিটি, অসামান্য পারফরমেন্স এবং ট্রেন্ডি কালারের মতো অসাধারণ সব ফিচারের কারণেই বিরল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে ডিভাইসটি; আর এর সবই পাওয়া যাচ্ছে দুর্দান্ত এক প্রাইস রেঞ্জের মধ্যে।

গ্যালাক্সি এ০৬-এ ২০:৯ আসপেক্ট রেশিওসহ ৬.৭ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে, মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ প্রসেসর, ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংসহ ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৪ বছরের সিকিউরিটি আপডেট ও ২টি ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) আপগ্রেড জেনারেশনের সুবিধা রয়েছে। নিখুঁত এবং ঝকঝকে ফটোগ্রাফি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর রয়েছে। এর অনন্য ডুয়েল ক্যামেরা এবং ৬০ এফপিএস (ফ্রেমস পার সেকেন্ড) ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ডিং ফিচার ডিভাইসটিকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ভিডিওপ্রেমীদের জন্য একদম যথার্থ করে তুলেছে।
আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর থেকেই ডিভাইসটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, উদ্ভাবনকে সবার জন্য সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে স্যামসাংয়ের অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এর ফলেই অসামান্য পারফরম্যান্স, অনবদ্য ডিসপ্লে, দুর্দান্ত ক্যামেরা, স্টাইলিশ লুক এবং শক্তিশালী ব্যাটারির এই স্মার্টফোনটি উন্মোচন করা হয়েছে, যেন ক্রেতাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজ সম্পূর্ণ করতে ফিচারগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
ক্রেতাদের কাছ থেকে অবিশ্বাস্য সাড়া পাওয়ার পর, মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যেই গ্যালাক্সি এ০৬-এর নতুন ভেরিয়েন্টের (৪ জিবি + ১২৮ জিবি ও ৬ জিবি + ১২৮ জিবি) স্টক আবারও পূর্ণ করার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং।
গ্যালাক্সি এ০৬-এর প্রতি মানুষের অনন্য এই সাড়ায় অভিভূত হয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের এমএক্স ডিভিশন বাংলাদেশ শাখার হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড মারকম সৈয়দ মো. বদরুল আরিফীন বলেন, “বর্তমানে আরও বেশি মানুষ তাদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সে কারণে, আমরা আমাদের সর্বশেষ স্মার্টফোনে এমন ফিচার যুক্ত করেছি যা ক্রেতাদের জীবনকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হওয়ায় ও ক্রেতাদের অসাধারণ সাড়া পাওয়ায় আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org