দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি মেটলাইফ বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও ইউনিট ম্যানেজারদের জন্য ‘মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ’ বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় দিক-নির্দেশনাগত সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ডিরেক্টর মো. মোস্তাকুর রহমান; রিপ্রেজেন্টেটিভ সিএএমএলসিও (চিফ অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেটলাইফ বাংলাদেশের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড হেড অব রিস্ক অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স মইনুল হাই আসিফ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মো. মশিউর রহমান। এছাড়াও, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জয়েন্ট ডিরেক্টর দিলীপ চন্দ্র দাস ও অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর মো. তারেক আহমেদ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মেটলাইফ বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এজেন্সি সেলস অফিসার মো. লুৎফর রহমান।
দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে বীমা খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বীমা খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মধ্যে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা গেলে এই অপরাধগুলোর ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব হবে বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন বক্তারা। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org