দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ায় তাতে উঠতে পারেননি এক বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা। প্ল্যাটফর্মে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দু’জন। ট্রেনের শেষ প্রান্তে থাকা চালককে দেখে বৃদ্ধ ট্রেন থামানোর অনুরোধও করেন। সেই অনুরোধ রাখলেন ট্রেনচালক!

ওই বৃদ্ধ দম্পতি প্ল্যাটফর্মে পা দিয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই সশব্দে বাঁশি বাজিয়ে চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে ট্রেন। প্রায় সকলেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তেমনই পরিস্থিতির শিকার হন এক বৃদ্ধ দম্পতি। ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্মে উঠতেই তখন ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। তারা দৌড়ে ট্রেনটি ধরার চেষ্টাও করেন। ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় হতাশ হয়ে দাঁড়িয়েও পড়েন তারা। তাদের এই অবস্থাটি দেখে এগিয়ে আসেন ট্রেনচালক। সেই ঘটনারই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। প্রচুর নেটিজেনের নজর কেড়েছে ভিডিওটি।
‘ঝাকাসোলজি’ নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হতে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ায় তাতে উঠতে পারেননি এক বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা। প্ল্যাটফর্মে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দু’জনেই। ট্রেনের শেষ প্রান্তে থাকা চালককে দেখে বৃদ্ধ ট্রেন থামানোর অনুরোধও করেন। সেই অনুনয়েই সাড়া দেন ট্রেনচালক। তিনি সামনের দিকে থাকা চালককে ট্রেন থামানোর জন্যও বলেন। কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে ট্রেনটি তখন থেমে যায়। বৃদ্ধ দম্পতি ট্রেনের কামরায় ওঠার পরই ট্রেনটি আবার ছেড়ে যায়। ভিডিও দেখে ট্রেনচালকের সহৃদয়তার কথা উল্লেখ করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটিজেনরা।
৬ মে পোস্ট করা হলেও ভিডিওটি কবে কিংবা কোথায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org