দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি বলেছেন যে, ইহুদিবাদী সরকারের যে কোনো বোকামিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রেই পূর্ববর্তী ‘ট্রু প্রমিজ’ অভিযানের মতো ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইরান সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৬ মে) এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে মুসাভি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বক্তব্যের জবাবও দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইসরায়েল এতোটাই দুর্বল যে, তারা ইরানের মহত্ত্বের ক্ষতি করতেও সক্ষম নয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শক্তি ইসরায়েল ও তার সমর্থকদের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এমনকি তাদের (নেতানিয়াহু সরকারের) নিজস্ব কর্মকর্তারাও বোঝেন যে, তারা এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোটেও সহ্য করতে পারবেন না। তবে যেহেতু বর্তমান শাসকরা বোকা, শিশু-হত্যাকারী, সে কারণে যে কোনো ভুলই সম্ভব। যদি তারা আরেকটি ‘ট্রু প্রমিজ’ পেতে তাড়াহুড়া করে, তাহলে আমরা যথাযথ আঘাত দেওয়ার জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গত বছর ইরান ‘ট্রু প্রমিজ’ নামে ইসরায়েলে অভিযানও চালায়। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় মিসাইলের বৃষ্টির মাধ্যমে ইরান তার সামরিক শক্তিও প্রদর্শন করে। শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইরানের পরিচালিত এই অভিযান স্পর্শকাতর ইসরায়েলি সামরিক এবং গোয়েন্দা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলতার সঙ্গে আঘাত করার ক্ষমতাকেও ফুটিয়ে তোলে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org