দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে তানিম নূর নির্মিত সিনেমা ‘উৎসব’-এর টিজার। সেখানে চঞ্চল চৌধুরী ও জয়া আহসানের বিরুদ্ধে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে!
![‘উৎসব’-এর টিজার প্রকাশ: চঞ্চল-জয়া ও জাহিদ হাসানের চমক [টিজার] 1 ‘উৎসব’-এর টিজার প্রকাশ: চঞ্চল-জয়া ও জাহিদ হাসানের চমক [টিজার] 1](https://thedhakatimes.com/wp-content/uploads/2025/06/0020-750x430.jpg)
এটুকু পড়ে হয়তো ভাবছেন যে, এমন কী ঘটলো যে, সিনেমার টিজারে তাদের সমালোচনা করা হচ্ছে! কিন্তু তাই হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় প্রকাশ পায় ‘উৎসব’ সিনেমার টিজার। প্রথমত: এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিছুক্ষণের জন্য হলেও দর্শকদের নিয়ে যাবে এক উৎসবের আমেজে। সঙ্গে রয়েছে চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান এবং অপি করিমের মজার মজার সংলাপ।
সেখানে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চরিত্রটি এক সংলাপে বলছে, ‘আজকাল টিভি খুললেই চারদিকে শুধু চঞ্চল চৌধুরীকেই দেখা যায়। সবজায়গায় এই লোকটি কমন।’ মূলত তিনি চরিত্র হয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন টিজারের মধ্যে। অপরদিকে, জাহিদ হাসান যখন চরিত্র জয়াকে জিজ্ঞেস করেন, তার অভিনেত্রী জয়া আহসানের অভিনয় ভালো লাগে কি-না। এর উত্তরে জয়া চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায় যে, ‘ওর কোনও গলা রয়েছে? ও কী ডায়লগ ডেলিভারি দিতে পারে?’
জাহিদ হাসান তারপর অপি করিমকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি অপি করিম না?’ এর জবাবে অপি চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায় যে, ‘কয়েকবছর অভিনয় করিনাই দেখে মানুষ কী চেহারা ভুলে গেলো নাকি?’
মূলত, নিজেদের সমসাময়িক বাস্তবতাকে চরিত্র ৩টির সংলাপে নিয়ে আসাটাকে আত্মোপলব্ধির চেষ্টা বলে মনে হতে পারে দর্শকদের মধ্যে। সেইসঙ্গে টিজারটি দারুণ উপভোগ করবেন দর্শকরা।
নির্মাতা তানিম নূর এই বিষয়ে জানিয়েছেন, যদি কেও সত্যিই এমন মনে করে থাকেন, তবে তিনিই স্বার্থক। কারণ ঈদ মানেই যেমন আনন্দ, তেমনি নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরিশুদ্ধ হওয়ারও বিষয়।
নির্মাতার ভাষ্য হলো, ‘ঈদে আমরা সবাই মিলে যেনো আনন্দ করতে পারি সেজন্যই সিনেমাটি নির্মাণ করা। ঈদের আনন্দ তো শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, এই আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়। আমাদের সিনেমাতে তেমন বার্তাই রয়েছে।’
টিজারের একদম শেষে চঞ্চলের সেই বিখ্যাত হাসি ও ডায়লগ শোনা যায়- ‘কি, ভয় পাইসো?’ সেই হাসি শুনে জাহিদ হাসান বলেন যে, ‘ধ্যাত, পাইসে একই জিনিস!’ তখন চঞ্চল অভিনীত চরিত্রের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘কী আশ্চর্য, লোকটা রেগে গেলো কেনো?’
এখানে জাহিদ হাসানের সংলাপটি চেনা চেনা মনে হতে পারে ‘আজ রবিবার’ নাটকের দর্শকদের।
নির্মাতা জানিয়েছেন, এমন আরও কিছু সংলাপ ‘উৎসব’ সিনেমায় রয়েছে, যা দর্শকদের নিয়ে যেতে পারে তাদের ফেলে আসা সময়ে।
এছাড়াও, টিজারে পাওয়া গেছে সৌম্য জ্যোতি ও সাদিয়া আয়মানের সুন্দর কিছু মুহূর্তও।
তানিম নূর জানিয়েছেন, চরিত্রগুলোর লুক ও তাদের কিছু দৃশ্য দর্শকদের সামনে হাজির করা হলো। সিনেমার গানসহ আরও কিছু প্রকাশ পাবে খুব শীঘ্রই।
‘উৎসব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, সৌম্য জ্যোতি, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও সাদিয়া আয়মান।
দেখুন টিজারটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org