দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়ে থাকে তরুণ-তরুণীদের। কাজকে গুরুত্ব দিয়ে পরিবারকে সময় দেওয়া যায় না। তবে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবও কিন্তু জরুরি। সেইসঙ্গে নিজের শখ-আহ্লাদকেও প্রাধান্য দিতেই হয়।

সারাক্ষণই কাজ নয়
আপনাকে কাজের গুরুত্ব বুঝতে হবে। কখন, কোন কাজটা করা জরুরি, সেটি বোঝা দরকার। যখন অফিসে রয়েছেন, তখন শুধু কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। অত্যাধিক চাপ থাকলে অফিসের পর কাজ করতে হয়। তবে প্রতিদিন অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যাবেন না। বাড়ি ফিরে শুধু পরিবারকেই সময় দিন বা নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন।
ডিজিটাল ডিটক্স জরুরি
মোবাইল এবং ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্তও আজকাল চলে না। ‘আপ-টু-ডেট’ থাকতে চায় সকলেই। তবে দিনের একটা সময় মোবাইল থেকে দূরে থাকাটা দরকার। কাজ ও সোশ্যাল মিডিয়া হতে কয়েক ঘণ্টা বিরতি নিতে হবে। ওইটুকু সময় পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কাটাতে হবে। নিজের শখের কাজগুলোও করতে পারেন।
রুটিন মেনে চলুন
একজন মানুষের জীবনে সফল হতে হলে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি। দিনের কোন সময় কোন কাজ করবেন, তার রুটিন বানিয়ে ফেলতে হবে। এমনকি ছুটির দিন কীভাবে সময় কাটাবেন, সেটিও পরিকল্পনা করে রাখুন। ছুটির দিনে ভুলেও অফিস কিংবা কোনো কাজে মগ্ন হয়ে থাকবেন না।
সম্পর্ককের গুরুত্ব দিন
এটি ঠিক যে, আপনাকে কাজ করতেই হবে। টাকা রোজগারও করতেই হবে। তবে কেরিয়ারে ডুবে গিয়ে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবকে ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। মাঝে-মধ্যে কাজকে পাশে সরিয়ে রেখে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়াও দরকার হয়। তাই সময় বের করে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে হবে, পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যেতে হবে। এগুলো ‘ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স’-এর ক্ষেত্রে ভীষণভাবে জরুরি একটি বিষয়। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org