দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখা আর ক্ষমতায় যাওয়া বড় দুটি দলের প্রধান লক্ষ্য হওয়ায় দেশ আজ এক মহা সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতোটায় করুন যে দেশ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে এক মহা সংকটের দিকে। কিন্তু দেশের সূধি সমাজ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারলেও বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।
এমন এক সময় ছিল যখন এদেশের রাজনীতির কারণে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের অনেক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ, নব্বুইয়ের গণঅভ্যুত্থান এ সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের দেশের রাজনীতি তথা তাদের আন্দোলনের কারণেই। এটা আমরা একবাক্যে স্বীকার করি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। এক দল অন্য দলের থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখছে। যে কারণে আজ দেশের সাধারণ মানুষ সঙ্কিত। কিন্তু স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের কি এমন পরিস্থিতি হওয়ার কথা? এখনও আমাদের রাস্তায় বের হতে হয় এক অজানা শংকায়। কখন কোন দলের জঙ্গি মিছিল আসে, আর যান-মালের ক্ষতি হয় এমন আশংকা আমাদের সব সময়।
স্বাধীন দেশের নাগরিকদের আজ যে অবস্থা- এর জন্য দায়ি কে? দায়ি করতে গেলে আমাদের দেশের বর্তমান রাজনীতিকেই দায়ি করতে হবে। কারণ ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতা ধরে রাখা এখন ‘মরণপণ’ হয়েছে বড় দুটি দলের মধ্যে। আর তাদের ‘মরণপণে’র শিকার হচ্ছে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ।
এ দেশের সূধি সমাজ ভূমিকা রাখলেও সব কিছু নির্ভর করে বড় দুটি দলের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের ওপর। যেমনটি হয়েছিল ২০০৬ সালে। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রধান কে হবেন সেই ইস্যু নিয়ে বড় দুটি দলের মধ্যে মত পার্থক্যের কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। যার মাশুল তাদেরই দিতে হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিও বড় দুটি দলের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি যদি সঠিক সময়ে অর্থাৎ এ মাসের মধ্যে না মেটে তবে দেশ এক মহা সংকটে নিপতিত হবে। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এদেশের কোন নির্বাচনই দীর্ঘস্থায়িত্ব হয়নি সেটা সকলেই জানেন।
এ দেশের জনগণ এখনও আশাবাদি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সর্বদলীয় সরকারের ইস্যুকে সামনে এনে বিরোধী দল ও দেশের সূধি সমাজ সংকট নিরসনে একটি পথ খুঁজে পাবেন এবং দেশকে এই মহা সংকট থেকে বাঁচাবেন।