দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চটজলদি ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ডায়েটের খোঁজ করেন মানুষ। কখনও কখনও আবার উপবাস করেই দিন কাটাচ্ছেন। তবে না খেয়ে থাকার চেয়ে সঠিক উপায়ে ওটস খাওয়া স্বাস্থ্যের ভালো।
ওজন কমানোর জন্য সঠিক খাবার সঠিক উপায়ে খেলে ফল পাওয়া যাবে। ওটস খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
কীভাবে ওটস ওজন কমায়?
এক বাটি ওটস খেলে পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। যে কারণে ক্ষণে ক্ষণে খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও হয় না। অপরদিকে, ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওটসের মধ্যে প্রোটিনও রয়েছে, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান রয়েছে ওটস। ওজন কমানোর পাশাপাশি রোগের ঝুঁকি কমায় এই ওটস।
ওটস খেলে দ্রুত ওজন কমে কীভাবে?
ওটস মূলত কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে অন্ত্রের খেয়াল রাখে ও বিপাক হার বাড়ায়। যে কারণে সহজেই ওজন কমে। তবে সঠিক উপায়ে ওটস না খেলে ওজন কমবে না। অনেকেই দুধ, মধু, খেজুরের মতো উপাদানের সঙ্গেও ওটস খান। আবার কেও কেও স্বাদের জন্য এতে চিনি মেশান। ফুল-ফ্যাট দুধ কিংবা শর্করার রয়েছে এমন উপাদানের সঙ্গে ওটস খেলে কিন্তু ওজন কমবে না। বরং বিভিন মশলা, টক দই, তাজা ফল ইত্যাদি দিয়ে ওটস খেতে হবে।
ওটস খাবেন কোন কোন উপাদানের সঙ্গে?
# হলুদ, দারুচিনি, পেঁয়াজ, রসুনের মতো উপাদান দিয়ে ওটসের খিচুড়ি বানিয়ে নিন। এই ধরনের মশলা শরীরের প্রদাহ কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
# টকদইয়ের সঙ্গে ওটস, তাজা ফল, বাদাম মিশিয়েও খেতে পারেন। প্রয়োজনে ওভারনাইট ওটস বানিয়েও খেতে পারেন।
# টকদই, চিয়া সিডস, বাদাম তাজা ফল ইত্যাদি দিয়ে ওটসের স্মুদি বানিয়েও খেতে পারেন।
# ওটসের রুটি, ইডলি, ধোসা খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২১, ২০২৫ 5:47 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
View Comments
This is such a valuable article! I really like how you’ve managed to explain the topic in a clear and practical way—it feels authentic and easy to relate to. Reading it gave me some new perspectives that I can actually apply. I’m especially interested in content like this because at meinestadtkleinanzeigen.de we’re running a classifieds and directory platform in Germany that connects people with services, businesses, and opportunities across many categories. Insights like yours remind me how powerful it is when knowledge and connections come together. Thanks for sharing—looking forward to more of your work!
Really well-written article! I enjoyed the way you broke down the topic—it feels very genuine and helpful, not just theory. The practical tips make it easy for readers like me to connect and actually take something useful away.At meinestadtkleinanzeigen.de , we’re building a directory and classifieds platform in Germany where people can discover businesses, services, and opportunities across many categories. That’s why I especially value content like yours, because it shows how sharing knowledge online can really create connections.Keep up the great work—I’ll definitely be following along for more insights!
Great article, thanks for sharing such valuable insights! I really appreciate the way you explained the topic so clearly and made it easy to understand. It’s rare to find content that is both informative and practical like this. By the way, I recently came across a helpful platform called profis-vor-ort.de — it connects people quickly with local experts and services in Germany. I think it could be a great resource for anyone interested in finding trustworthy professionals nearby. Keep up the great work, I’ll definitely be following your future posts!
Fantastic nice awesome boring funny fantastic excellent.