দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয়তা এখনও আকাশছোঁয়া। তবে এই মাধ্যমে মানসম্মত গল্প এবং চিত্রনাট্যের চাহিদা সবসময়ই বেশি।

এবার সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই আয়োজন করা হচ্ছে ‘SCRIPT WRITING–TV DRAMA’ মাস্টারক্লাস, যেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু।
এই বিশেষ আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা শিখবেন টেলিভিশন নাটকের জন্য শক্তিশালী গল্প বলার নানা কৌশল, পেশাদার চিত্রনাট্য নির্মাণ এবং কীভাবে লেখালেখির মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায় সেটি। শুধু লেখালেখিই নয়, এখানে পাওয়া যাবে শিল্পের ভেতরের অভিজ্ঞতা এবং আর্থিক সম্ভাবনার দিকনির্দেশনা।
এই মাস্টারক্লাসটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (শুক্রবার), বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত, রাজধানী ঢাকার বাংলামটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। সীমিত আসনের এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে মাত্র ৩০ জনের।
আয়োজনটি করেছে Academy of Creative Professionals (ACP)। অংশগ্রহণের জন্য 0184152719 মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শফিকুর রহমান শান্তনু নাটক এবং নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে নাটক রচনা বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর শেষে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। সেইসঙ্গে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতাও করছেন। ভাষায় রসবোধ এবং জীবনের গভীর উপলব্ধিকে স্পর্শ করাই মূলত তার লেখার বিশেষত্ব। শ্রেষ্ঠ নাটক রচয়িতা হিসেবে পেয়েছেন আলফা তারকা পুরস্কার ২০১৭ এবং আরটিভি স্টার এ্যাওয়ার্ড ২০২০।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org