দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোহরাহয়ার্দী উদ্যানের গণ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন ১৮ দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, কোন একদলীয় নির্বাচন এদেশে হতে দেওয়া হবে না। তিনি প্রাথমিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত লাগাতার হরতাল আহবান করেছেন।
বেলা পোনে ৫টায় শুরু করে ৩২ মিনিটের বক্তৃতায় বেগম জিয়া বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কড়া সমালোচনা করেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের গণতন্ত্রের প্রতি কোন দরদ নেই। মুখে বড় বড় কথা বললেও বর্তমান সরকার দুর্নীতি আর লুটপাট করে এদেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, শেয়ার বাজারসহ নানা দুর্নীতি করেছে। আজ দেশের প্রধান ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, কেনো পদ্মা সেতু হলো না। দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়ে গেলো। এর জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
বেগম জিয়া গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে বলেন, দেশের এতো লাখ লাখ মানুষ যে ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত সেই ব্যাংক নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি ড. ইউনুসের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামীলীগ মানি লোকের কদর করতে জানে না।
খালেদা জিয়া গুম করা প্রসঙ্গে বলেন, গুম করার জন্য আওয়ামীলীগ বাহিনী তৈরী করেছে। কাদের নিয়ে তৈরি তাও আমরা জানি। ইলিয়াস আলী কে গুম করা হয়েছে। চৌধুরী আলমকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। শিবির নেতা দেলাওয়ারকে নির্যাতন, বিএনপি নেতা পিন্টুকে জেলে নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দল কথা বলতে পারেনা । অফিসে যেতে পারে না । বিএনপি, জামায়ত অফিস অবরুদ্ধ। পুলিশ দিয়ে অফিসে হামলা হচ্ছে।
খালেদা জিয়া প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। পুলিশ বাহিনীকে বলবো আপনারা আর নির্যাতন করবেন না। কোনো সমস্যা হবে না। আমরা দলীয়করণ করবো না। প্রত্যেকে কাজে লাগাবো।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ দেশে সকল দলের অংশগ্রহণেই নির্বাচন হতে হবে। না হলে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এক দলীয় নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কর্মসূচি দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে- আলোচনায় না বসলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি ২৭ তারিখ রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৯ তারিখ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপি লাগাতার হরতালের ডাক দেন।
বিকেলে বেগম জিয়া সভাস্থলে উপস্থিত হলেও সকাল থেকে সোহরায়ার্দীর আশে পাশের এলাকা কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।