দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতিতে অটল থাকার বিষয়ে ‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর এখন উচিত ফিলিস্তিন পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক বার্ষিক সম্মেলনের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে এরদোয়ান আরও বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, হামাস চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে যথেষ্ট দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তার এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন তুরস্ক গাজা ইস্যুতে আলোচনার জন্য সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আতিথ্য দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অক্টোবরের ১০ তারিখে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক হচ্ছে।
বৈঠকটি ইস্তাম্বুলের একটি হোটেলে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় শুরু হবে বলে জানা যায়। কয়েক ঘণ্টা পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের কথাও রয়েছে।
এরদোয়ান বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত গাজার মানুষের কাছে আরও বেশি বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। তারপরই শুরু করতে হবে পুনর্গঠনের কাজ। ইসরায়েলি সরকার তা ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টাও করছে।’
তিনি আর বলেন, “আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার যৌথভাবে প্রস্তুত করা পুনর্গঠন পরিকল্পনাটি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত।’
তিনি মার্চ মাসে ঘোষিত ফিলিস্তিন পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন। এরদোয়ান বলেন, ‘গাজা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় ওআইসি এবং কমসেকের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা নেওয়াও অত্যাবশ্যক।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org