দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে চেরি গাড়ির একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেড সম্প্রতি উদ্বোধন করেছে চেরি টিগো ৯প্রো পিএইচইভি। এর মাধ্যমে দেশের প্রিমিয়াম প্লাগ-ইন হাইব্রিড এসইউভি বাজারে গাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

চেরির এই ফ্ল্যাগশিপ মডেলে আভিজাত্য, শক্তিশালী পারফরমেন্স এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় চেরির অফিসিয়াল শোরুমে গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান মোটরস্পেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান, পরিচালক দেওয়ান সাঈদুর রহমান এবং চেরি বাংলাদেশের হেড অব সেলস আবু মাহমুদ নাসের সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে উন্নত হাইব্রিড প্রযুক্তি আনার মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সচেতন গ্রাহকদের জন্য নতুন সমাধান নিয়ে এসেছি। টিগো ৯প্রো পিএইচইভি এমন একটি গাড়ি যার মাধ্যমে বিলাসিতা এবং পারফরমেন্স বজায় রেখেও কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, এই গাড়ি বাংলাদেশের প্রিমিয়াম এসইউভি বাজারে নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।”
টিগো ৯প্রো পিএইচইভি-তে রয়েছে ৩৭৫ কিলোওয়াট (৫০২ বিএইচপি) ক্ষমতা ও ৭৫০ এনএম টর্ক। এটি ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায় মাত্র ৫.৭ সেকেন্ডে। গাড়িটির মোট সিস্টেম রেঞ্জ ১,৩৮০ কিলোমিটার।
এটি ১.৫ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন, প্লাগ-ইন হাইব্রিড এডব্লিউডি প্রযুক্তি এবং ৮-স্পিড এইসিন ডেডিকেটেড হাইব্রিড ট্রান্সমিশন (৩ডিএইচটি) সমন্বয়ে তৈরি।
গাড়িটির কেবিনে আছে ১৫.৬ ইঞ্চি ২.৫কে এইচডি স্ক্রিন, সনি ১৪-স্পিকার হাই-ফিডেলিটি সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেম এবং নাপা লেদারের ৭টি সিট।
বাড়তি আরামের জন্য এর মধ্যে রয়েছে ম্যাসাজ ফাংশনসহ সিট ঠাণ্ডা এবং গরম করার সুবিধা, ডুয়াল-জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, স্লাইডিং প্যানোরামিক রুফ এবং হিটেড স্টিয়ারিং হুইল।
নিরাপত্তার দিক থেকেও গাড়িটি উন্নত। এতে রয়েছে এএনসিএপি অনুমোদিত শক্তিশালী চেসিস ও ৮৫ শতাংশ হাই-স্ট্রেংথ স্টিল, একাধিক এয়ারব্যাগ, অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং, ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন, ৫৪০-ডিগ্রি প্যানোরামিক ক্যামেরা এবং ট্রান্সপারেন্ট অফ-রোড ভিউ প্রযুক্তি।
গাড়িটির বাহ্যিক নকশায় আছে আপগ্রেড করা টিগো পরিবারের ডিজাইন, যা তৈরি হয়েছে ‘গোল্ডেন রেশিও’ অনুপাতে। এর দৈর্ঘ্য ৪,৮১০ মিমি, প্রস্থ ১,৯২৫ মিমি এবং উচ্চতা ১,৭৪১ মিমি। ২০ ইঞ্চি পলিশড অ্যালয় হুইল এবং টাইগার-আই প্যাটার্ন গ্রিল গাড়িটিকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা।
প্রতিটি গাড়ির সাথে থাকছে বিনামূল্যে ২২ কিলোওয়াট হোম ফাস্ট চার্জার, যাতে ঘরে সহজেই চার্জ দেওয়া যায়। উন্নত প্রযুক্তি, বিলাসবহুল ফিচার এবং পরিবেশবান্ধব পারফরমেন্সের সমন্বয়ে তৈরি চেরি টিগো ৯ প্রো পিএইচইভি এমন সব পরিবার ও পেশাজীবীদের জন্য, যারা একইসাথে আরাম, স্টাইল এবং পরিবেশ-বান্ধব টেকসই চলাচলে প্রাধান্য দেন।
গাড়িটির সঙ্গে থাকছে ৮ বছর বা ১,৬০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়্যারেন্টি (শর্ত প্রযোজ্য) এবং বাই ব্যাক সুবিধা।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org