দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বহুল প্রত্যাশিত স্মার্টফোন অনার এক্স৯ডি দেশের বাজারে উন্মোচন করবে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ। এজন্য সম্পন্ন করা হয়েছে সকল প্রস্তুতি। সর্বোচ্চ স্থায়িত্ব এবং শক্তিশালী ব্যাটারি পারফরমেন্সের মাধ্যমে এই স্মার্টফোনটি মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন সেগমেন্টে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা।

অনার এক্স৯ডি এর দখলে রয়েছে ‘হাইয়েস্ট স্মার্টফোন ড্রপ’ ক্যাটাগরিতে পাওয়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ৬.১৩৩ মিটার উচ্চতা থেকে পড়েও কোনো ক্ষতি না হওয়ায় এর দুর্দান্ত স্থায়িত্ব এবং সিরিজের আগের ফোনগুলোর মতোই এর উন্নত অ্যান্টি-ড্রপ প্রযুক্তির সক্ষমতার সুবিধা উপভোগ করবেন স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়াও, স্মার্টফোন শিল্পে প্রথমবারের মতো এই ডিভাইসটি ‘এসজিএস ট্রিপল রেজিস্ট্যান্ট প্রিমিয়াম পারফরমেন্স সার্টিফিকেশন’ অর্জন করেছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে সুবিশাল ৮৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার সিলিকন-কার্বন ব্যাটারি, যা বর্তমানে বাজারে বিদ্যমান স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। পাশাপাশি, এতে রয়েছে আকর্ষণীয় ১০৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-সেন্সিং ক্যামেরাসহ আরও উন্নত ফিচার। দুর্দান্ত পারফরমেন্স নিশ্চিতে ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬ জেন ৪ প্রসেসর।
ব্যবহারকারীদের ভিন্নধর্মী পছন্দের কথা মাথায় রেখে অনার এক্স৯ডি বাজারে আসছে সানশাইন গোল্ড, মিডনাইট ব্ল্যাক এবং রেডিশ ব্রাউন; এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে। ডিভাইসটির প্রি-বুকিং আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org