দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বহুল আলোচিত ভারতীয় অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে যে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর তা প্রায় পরিষ্কার হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে জিয়া খানকে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।
এই পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে, আত্মহত্যা নয় বরং তাকে হত্যা করা হয়েছিল। অক্টোবরের প্রথম দিকে জিয়ার মা রাবিয়া খান তার মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করার দাবি নিয়ে আদালতে যান। আদালত অতঃপর জুুলু পুলিশ স্টেশনকে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন। খবর সংবাদ মাধ্যমের।
নতুন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত জিয়ার নখের মধ্যে মানুষের রক্ত-মাংস পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তার ওপর জোরাজুরির চিহ্নও পাওয়া গেছে। জিয়ার অন্তর্বাসেও রক্ত শনাক্ত করা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তার শরীরে এলকোহল পাওয়া গেছে। এটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মদ প্রয়োগ করে অচেতন করে সহজেই অন্য কেও তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে থাকতে পারে। নতুন এসব তথ্য সামনে আসার ফলে সম্ভাবনা রয়েছে জিয়ার মৃতদেহ নতুন করে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন অভিনেত্রী ২৫ বছর বয়সী জিয়াকে তার নিজ বাসভবনে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মা রাবিয়া খান অভিযোগ করেছেন, জিয়ার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ড সূরজ পাঞ্চালি হত্যার পেছনে দায়ী। গত কয়েক মাস ধরেই চলছে এ নিয়ে নানা আলোচনা। জিয়ার ঘনিষ্ট অনেকেই মনে করেন জিয়া আত্মহত্যা করতে পারেন না। অনেকের ধারণা তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।