দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হেফাজতে ইসলামীর ডাকে অবরোধে গতকাল রাজধানী ঢাকা ছিল অবরুদ্ধ। সকালের দিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও বেলা ১১টার পর থেকে শুরু হয় হেফাজতকর্মীদের তাণ্ডব। পুলিশের সঙ্গে সারাদিন টানা চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা। মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনসহ পুরো এলাকা এখন শুধুই বিধ্বস্তের স্বাক্ষর বহন করছে।
সকাল ১১টা থেকে চলা এই তান্ডবলীলা চলে রাত্রী পর্যন্ত। এ সময় বায়তুল মোকাররম-পুরানা পল্টন এলাকা পরিণত হয় এক রণক্ষেত্রে। ফুটপথের বই-এর দোকান থেকে শুরু করে এমন কোন দোকান নেই যেখানে আগুন দেওয়া হয়নি। এ সময় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলেও তাদেরকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আগুন নেভাতে দেয়নি। আগুন নেভাতে না দেওয়ায় এক সময় বায়তুল মোকাররমের জুয়েলারী মার্কেটে আগুন লাগে। অবশ্য রাতে পুলিশ সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সারাদিনের অভিযান চলাকালে পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের জন্য রাস্তার আইল্যাণ্ডগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। রাস্তার মাছের গাছগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়। হাতের কাছে ভাঙ্গার মতো যা কিছু পেয়েছে তাই ধ্বংস করা হয়েছে। মতিঝিলে ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাংচুর করে টাকা লুটের চেষ্টা হয়েছে।
রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় একটি ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয় রাজধানীর এই ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে খ্যাত মতিঝিল-পল্টন এলাকা। আফগানিস্তানে তালেবান অভিযানের পর যেমন বিধ্বস্ত শহরে পরিণত হয়েছিল ঠিক তেমনই দেখা গেছে মতিঝিল-পল্টন এলাকা।
এভাবে মতিঝিল, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, বিজয়নগর, নয়াপল্টনসহ পুরো এলাকা পরিণত হয় এক ধ্বংসস্তুপে। সকালে সিটি করপোরেশন পরিষ্কার করা কাজ শুরু করেছে। মতিঝিল এলাকা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।