দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাসার প্রেরিত মহাকাশ যান অপরচুনিটি চমকপ্রদ এক সংবাদ পাঠিয়েছে। অপরচুনিটি প্রথমবারের মতন মঙ্গল গ্রহে পান যোগ্য পানির তথ্য প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে। নাসার মঙ্গল অভিযান এর আওতায় অপরচুনিটি মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে ২০০৪ সালে। বিভিন্ন সময়ে মহাকাশ যানটি মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কিত নানা তথ্যাদি প্রেরণ করে। প্রাকৃতিক ভাবে এবং রাসায়নিক সাদৃশ্য পান যোগ্য পানি পাওয়ার সম্ভব্যতার প্রমাণ এইবারই প্রথম প্রেরণ করছে মহাকাশ যানটি।
২০০৩ সালের এপ্রিলে নাসা মঙ্গল অভিযানে যমজ রোভার উৎক্ষেপণ করে। রোভারদ্বয়ের নাম স্পিরিট (এমইআর-এ) এবং অপরচুনিটি (এমইআর-বি)। ২০০৪ এর জানুয়ারিতে দুটি রোভারই মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করে এবং তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সবগুলো কাজ সুন্দরভাবে সম্পাদন করে।
এনডেভার নামে আগ্নেয়গীরির কাছে পৌঁছাতে অপরচুনিটির তিন বছর সময় লেগেছিল। জায়গাটা পরীক্ষা নিরীক্ষার একটা পর্যায়ে অনেক কিছুর মধ্য থেকে এসপ্যারেন্স নামে ছোট পাথর পাওয়া যায়। সাত বারের চেষ্টায় অপরচুনিটি সঠিক অবস্থান নিতে সক্ষম হয় পাথরের ভেতরটা দেখার জন্য। যদিও উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ কিউরিওসিটি রোভার এর মতন কেমেস্ট্রি ল্যাব অপরচুনিটির নেই। খুব সাধারণ খনিবিদ্যা প্রয়োগ করে পান যোগ্য পানি পাবার সম্ভব্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে সফল হয়েছে যানটি। যানটি পাথরটি খুটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে। পাথরটি নন এসিডিটিক পানির মধ্যে কাঁদা থেকে রূপান্তির হওয়া।
অপরচুনিটির প্রধান বিজ্ঞানী কর্নেল ইউনিভার্সিটির স্টিভ স্কুইয়ারস জানান, এই পানি আপনি পান করতে পারবেন। এটা সব থেকে শক্তিশালী তথ্য প্রমাণ প্রাকৃতিক রাসায়নিক গঠনের পানি যা অপরচুনিটি খুঁজে পেয়েছে। পর্যবেক্ষণটি উষ্ণ আবহাওয়া থেকে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রূপান্তর বিষয়ক অনেক প্রমাণাদিতে বিজ্ঞানীদের কাজে আসবে।
এদিকে মঙ্গলগ্রহে পানির অস্তিত্বের প্রমাণ অনেক আগেই খুঁজে পেয়েছিল কিউরিওসিটি। নাসার তরফে দাবি করা হয়েছে, কিউরিওসিটি মঙ্গলগ্রহের যেখানে অবতরণ করেছে সেই এলাকা দিয়ে একসময় বয়ে যেত পানির ধারা। মঙ্গলের ক্রেটার গহ্বরে অবতরণ করে কিউরিওসিটি। ক্রেটারের উত্তরদিকে মাউন্ট শার্প এলাকায় একটি পাথরের খণ্ডের ছবি পৃথিবীতে পৌঁছনোর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে কিউরিসিটি মাউন্ট শার্প অভিমুখে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল