দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দোষ স্বীকার করেও শেষ রক্ষা হয়নি নাফিসের। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের দায়ে বাংলাদেশি কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সেদেশের আদালত।
৯ আগস্ট ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত এ রায় দেন। ইতিমধ্যেই নাসিফ দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তাকে কারাদণ্ডের রায় দেয়া হলো।
রায় ঘোষণার আগে নাফিস বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি লজ্জিত। আমি সব কিছু হারিয়েছি। আমি একটা ভয়ঙ্কর কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি যা করেছি তার জন্য আমি একাই দায়ী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন।’ নাফিস এসময় বিচারক, যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক সিটির অধিবাসী এবং বাবা-মার কাছেও ক্ষমা চান।
অভিযোগ করা হয়, নাফিস বাংলাদেশে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্র যান মূলত ‘জিহাদ’ করার উদ্দেশ্যে। তবে ব্যক্তিগত সমস্যাও এ তৎপরতায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন উভয়পক্ষের আইনজীবী।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, রায় ঘোষণার আগে নাফিস বিচারক ক্যারল ব্যাগলে আমনের কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি চিঠি লেখেন। আর চরমপন্থি ইসলামে বিশ্বাস করেন না বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আল কায়েদার সহায়তায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে নাফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। আইনজীবিদের পরামর্শে নাফিস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দোষ স্বীকার করে জবাববন্দি দেন। আইনজীবিদের ধারণা ছিল দোষ স্বীকার করলে সাজা কম হবে। কিন্তু এ রায়ের মাধ্যমে সে ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হলো।