দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথম লেগের শেষ মুহুর্তে রোনালদোর করা গোলে ১-০ তে এগিয়ে ছিলো পর্তুগাল। গতকাল অধিনায়ক রোনালদোর দূর্দান্ত হ্যাটট্রিকে সুইডেনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেলো পর্তুগাল। অন্যদিকে অনেক আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলেও, গতকাল মেসিকে ছাড়াই বসনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ঝালাই করে নিলো আর্জেন্টিনা। দুটো গোলই এসেছে অ্যাগুয়েরোর পা থেকে।
ম্যাচে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো সুইডেন। ৫০ মিনিটে দারুণ একটি শটে পর্তুগালকে ১ গোল পাইয়ে দেন রোনালদো। বিশ্বকাপে যেতে হলে পর্তুগালকে ব্যবধানটা আরও বাড়াতে হতো।
বাঁ পায়ের পাতায় চোটের কারণেই কদিন আগে অনুশীলন করতে পারেননি, সেকারণে হঠাৎ করেই পর্তুগাল সমর্থকদের ভয় পাইয়ে দিয়ে রোনালদো নিজের বাঁ পায়ের বুট চেপে ধরে ব্যথায় কাতরে উঠলেন। তবে ব্যথায় কাতর হয়ে যেনো সুইডেনকেই পিষে ফেললেন রোনালদো। ৭৭ মিনিটে ২-২ করে ফেললেন। দুই মিনিট পরই পূর্ণ করলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তাঁর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ম্যাচে চতুর্থ গোলটি পেতে পেতেও পেলেননা তাঁর চিপ ডান পোস্টে বাতাসের কাঁপন ধরিয়ে বেরিয়ে গেল।
অন্যদিকে এরই মধ্যে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে দিয়েছেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে সর্বমোট ৪৭টি গোল করে পর্তুগালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা পলেতার সঙ্গে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করে নিলেন তিনি। বলার অপেক্ষা নেই সামনেই যেকোনোদিন ভেঙে ফেলবেন এই রেকর্ড।
অন্যদিকে দুইমাসের জন্য মেসি ইঞ্জুরিতে চলে যাওয়ায় আর্জেন্টিনাকে এর আগের ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে। তবে গতকালকের ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরলেন দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সার্জিও অ্যাগুয়েরো। ক্লাব ফুটবলে ম্যান সিটির হয়ে দারূণ ফর্মে অ্যাগুয়েরো থাকা একাই করলেন ২ গোল। ৪০ মিনিটে বক্সে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বল পেয়ে গিয়েছিলেন। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি। তবে ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার নিজের জাত চিনিয়েছেন ৬৬ মিনিটে। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটটা ঠেকানো অসাধ্য ছিল বসনিয়ার গোলরক্ষক বেজোভিচের।
এই ম্যাচ জেতায় এই বছরটা ভালোভাবেই শেষ করলো আর্জেন্টিনা, ১২টি ম্যাচ খেলে হেরেছে মাত্র একটিতে। তবে মেসির অভাবটা স্বীকার করলেন দলের কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, “মেসি আমাদের সাথে থাকলে আমাদের জন্য খেলাটা সহজ হয়ে যায়, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। আমি অতটা হতাশ নই। আমার খেলোয়াড়েরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছে।”