ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ সমপ্রতি বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিমের ঘাটতি পূরণ করতে তাই এবার থাইল্যান্ড থেকে মুরগির ডিম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জানা যায়, ৮ কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির ব্যাপারে অনাপত্তি জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এখন আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমতি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দুটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছে। বে এগ্রো ৩ কোটি পিস এবং প্যাসিফিক পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি ৫ কোটি পিস আমদানির অনুমতি চেয়েছিল। এ দু’প্রতিষ্ঠানই থাইল্যান্ড থেকে ডিম আমদানি করবে।
ডিমের বাজার এখন বেশ চড়া
এক হালি ফার্মের ডিমের দাম ৩৮ টাকা। দাম নামিয়ে আনতে ডিম আমদানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ সালে ডিমের দাম বাড়তে থাকলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ডিম আমদানির প্রস্তাব আসে। তবে সে সময় পোল্ট্রি খাতের সংগঠনগুলো আমদানির বিরোধিতা করে। একপর্যায়ে ডিমের দাম আবার সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে।
মাসে প্রায় ৬৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ডিম উৎপাদন হয়ে থাকে ৫০ থেকে ৫২ কোটি পিস। চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ডিম আমদানি করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান দুটি। বার্ড ফ্লুর কারণে উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের আমিষ ও পুষ্টিকর যেসব খাদ্য রয়েছে সেগুলোর প্রায় বেশির ভাগই ভেজাল হওয়ার কারণে দেশের সাধারণ মানুষ পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগ সহ নানা অপুষ্টিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে থাকে। একমাত্র ডিমই হচ্ছে ভেজাল বিহীন পুষ্টিকর খাদ্যের একটি অন্যতম। মাছ-মাংসসহ প্রতিটি জিনিসের মধ্যেই ভেজালের কারণে তা অখাদ্যে পরিণত হয়ে থাকে। যেহেতু ডিমের মধ্যে ভেজাল দেওয়া যায় না, তাই এখনও এই ডিম শিশু-কিশোরদের আমিষ-পুষ্টি পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সামপ্রতিক সময়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণে তা সাধারণ জনগণের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে।