The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ ॥ বিশাল ঘাটতির এই বাজেট মোকাবিলা করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ

ঢাকা টাইমস্‌ রিপোর্ট ॥ জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রস্তাবিত বিশাল ঘাটতির এই বাজেট দিয়ে ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ- বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।
জাতীয় সংসদে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ ॥ বিশাল ঘাটতির এই বাজেট মোকাবিলা করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ 1
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে কঠিন বাস্তবতায় অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন। প্রস্তাবিত ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে আগামীর পথ রচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ পথ কতটুকু মসৃণ হবে তা সময়ই বলে দেবে। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে বেশি প্রাক্কলন করা হয়েছে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার। এর পরিমাণ ৭.২ শতাংশ। এর পাশাপাশি অর্থনীতির নীরব ঘাতক মূল্যস্ফীতির হারের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন দুরূহ বলে মনে করে অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির সূচকগুলো নিম্নমুখী। এছাড়া ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ৩৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উদ্যোক্তারা মনে করছেন, ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ আবারও সংকুচিত হতে পারে। পাশাপাশি বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অর্থায়ন ছাড়াও ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেয়ার ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। আগামী দিনের অভিযাত্রায় নতুন বাজেটে গুরুত্ব পেয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষি, যোগাযোগ, মানবসম্পদসহ আরও কিছু বিষয়। এরপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বিশাল ঘাটতি বাজেটে অর্থায়নের বিষয়টি। বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব কিনা বিষয়টি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক পরিকল্পনা, অনেক প্রতিশ্রুতি। আর এসব পরিকল্পনার ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোন সুখবর বয়ে আনেনি প্রস্তাবিত নতুন বাজেট। বরং অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিলেন তাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কিছুটা হলেও বাড়বে। সব মিলে বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ থেকেই যাচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, বাজেট বাস্তবায়ন রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করছে। নির্ভর করছে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প সুরক্ষার নানা উদ্যোগ রয়েছে। ওষুধ, জাহাজ শিল্প রক্ষায় রয়েছে বাজেটীয় পদক্ষেপ।

বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্য

বিরোধী দল বিএনপি বাজেট সম্পর্কে মন্তব্য করেছে এ বাজেট জনবান্ধব নয়। এটি গণবিরোধী। রূপকল্প কথা বলে বাজেটে রূপকথার গল্প শুনিয়েছেন। সরকার বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে যে লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেছে তা কখনোই অর্জন করা সম্ভব নয়। কারণ জিডিপির যে প্রবৃদ্ধির সূচকের সবগুলোই নিম্নমুখী। বাজেট মূলত অন্তঃসারশূন্য। সরকারের এই বাজেটে দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

বাজেট নিয়ে বিশিষ্টজনের বক্তব্য

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, এ বাজেট বাস্তবায়ন করা দুরূহ হবে। আয় ও ব্যয়ের যে ঘাটতি তা পূরণ করা অসম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, এ বাজেট গতানুগতিক। বাস্তবায়ন অসম্ভব। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন বলেছেন, এ বাজেট উচ্চাভিলাষী বলব না। তবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার অর্জন করা খুব কঠিন হবে। এমনকি মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাও ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন ৩টা ৩১ মিনিটে। তিনি শুরুতে ঐতিহাসিক ৭ জুনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। এরপরই তিনি মাতৃভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হন তাদেরসহ জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সময় অগণিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। একই সঙ্গে তিনি স্বৈরাচার ও মৌলবাদী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় স্ক্রিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দৃশ্য দেখা যায়।

বাজেটের পরিসংখ্যান

২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব প্রাপ্তি ১ হাজার ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ডবহির্ভূত কর ৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। এছাড়াও কর ব্যতীত প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে অর্থাৎ অনুন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ১১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু রাজস্ব ব্যয় ৯৯ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। খাদ্য হিসেবে ধরা হয়েছে ৩৫৮ কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম ১৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় মোট ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ৫৫ হাজার কোটি টাকা। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। এডিপিবহির্ভূত প্রকল্প ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা।

অর্থের সংস্থান

বৈদেশিক ঋণ ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ ৩৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ছাড়াও ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ রয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে ঋণ নেয়া হবে। অর্থাৎ সর্বমোট অর্থের সংস্থানের জন্য ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ২৪ কোটি টাকা।
অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন বাজেট : ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রিত কর থেকে পাওয়া যাবে মোট রাজস্বের ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর ৩৬ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, আয়কর ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যান্য ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হবে জনপ্রশাসনে যা মূল বাজেটের ১৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে সুদ যার পরিমাণ মূল বাজেটের ১২ দশমিক ২ শতাংশ। পরবর্তীকালে শিক্ষা ও প্রযুক্তি, ভর্তুকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ। সবচেয়ে কম বরাদ্দ করা হয়েছে গৃহায়ন খাতে। যার পরিমাণ ০ দশমিক ৭ শতাংশ।
অনুন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে সুদ পরিশোধে। যার পরিমাণ ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। এরপর রয়েছে বিবিধ ব্যয়। যার পরিমাণ বাজেটের ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। এখানেও ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটের ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।

যেগুলো বাস্তবায়ন শুরু হয়নি

অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত অনেক বিষয় এখনও শুরু করা হয়নি, যা বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে- জেলাওয়ারি বাজেট, চিংড়ি নীতিমালা তৈরি, জাতীয় পুষ্টি কার্যক্রম কর্মসূচিকে ১২৩টি উপজেলায় সম্প্রসারণ, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর অনুপাত উন্নীত করা, ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণ, ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ স্থাপন, ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস সড়ক নির্মাণ, ঢাকাসহ মহানগরীর ক্রমবর্ধমান পরিবহন যানজট, পানি, পয়ঃনালা ও পরিবেশ সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ, ন্যাশনাল ট্যাক্স ট্রাইব্যুনাল গঠন ইত্যাদি।

বিরতি ও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা

অর্থমন্ত্রী আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী বাজেট বক্তৃতা শেষ করেন। তার বক্তৃতায় চলতি অর্থবছরের বাজেট সমস্যা ও সংশোধন, সংশোধিত বাজেট ঘাটতি, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক কৌশল তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি তিনি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট কাঠামোতে বিশ্ব অর্থনীতি, রাজস্ব মুদ্রা খাতের পরিসর, কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ, রাজস্ব আহরণ, সহনীয় মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আয় ও ব্যয়, ঘাটতির অর্থায়ন, এডিপি বাস্তবায়ন, সংস্কার কার্যক্রম, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়াও পুঁজিবাজার, অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, খাদ্য নিরাপত্তা, পানিসম্পদ, পল্লী উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রাথমিক শিক্ষা খাতে অর্জন, জনসংখ্যা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, সুশাসনসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে তার বাজেট বক্তৃতায় বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। তিনি উল্লেখ করেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতির ওপর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিলম্বিত প্রভাবের কারণে প্রথমদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেশি থাকতে পারে। তবে সংযত মুদ্রানীতির পাশাপাশি রাজস্ব খাত সুসংহতকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় ৩ বছরের সফলভাবে সম্পন্ন ১৩১টি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সামনে আরও একটি বাজেট তৈরির সুযোগ থাকলেও তা বাস্তবায়নের ভার থাকবে পরবর্তী সরকারের হাতে। এ বিবেচনায় এটাই বর্তমান সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট।

কর প্রসঙ্গ

বাজেটে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা ও কর্পোরেট করের হার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তবে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের ন্যূনতম প্রদেয় কর তিন বছর আগে ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকায় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটে কৃষিপণ্য উৎপাদন বহুমুখীকরণ ও শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের প্রণোদনার জন্য কর অবকাশ সুবিধার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ইপিজেড এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে একই রূপ কর অবকাশ প্রস্তাব রাখা হয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।
বাজেটে সব ধরনের রফতানির ক্ষেত্রে সমহারে অর্থাৎ ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের রফতানির ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত করের হার ০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ০ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশন/ফিটনেস নবায়নকালে প্রদেয় উৎসে আয়করের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে সার্ভিসের প্রাপ্ত সমুদয় অর্থের ওপর ১ শতাংশ হারে ও অন্যদের ক্ষেত্রে আইজিডব্লিউ কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি কর্তৃক যে কোন জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার এলাকাভেদে ৫ শতাংশ ও ৩ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পোস্টপেইড মোবাইল গ্রাহকের ক্ষেত্রে মোট বিলের ওপর এবং প্রি-পেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রিপেইড কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের সময় ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
টার্নওভার : বার্ষিক ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে টার্নওভার কর সম্পূর্ণ মওকুফ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বার্ষিক ৭ লাখ টাকার বেশি ২৪ লাখ পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে শতকরা ২ ভাগ হারে টার্নওভার কর ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের ভ্যাট

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার সব পর্যায়ে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ ও আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যেসব ব্যবসায়ী প্রকৃত ভ্যাটের ভিত্তিতে কর দিতে চাইবেন তাদের জন্য উপকরণ কর রেয়াত বা সমন্বয় সুযোগসহ সহজ শর্তে ১৫ শতাংশ হার প্রযোজ্য হবে।

দাম বাড়তে পারে

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত সব ধরনের সিগারেটের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় শিল্প সংরক্ষণে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের ওপর সম্পূরক ও রেগুলেটরি শুল্ক আরোপ বা বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় অনেক পণ্যের দাম বাড়বে। এর মধ্যে রয়েছে- এয়ার কন্ডিশনার, সিরামিক ও কাঁচ শিল্পের সংরক্ষণে টাইলস, তৈজসপত্র, ভ্যাট নিবন্ধিত রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আমদানি করা অপরিশোধিত পাম তেল, আমদানিকৃত মেলামাইন পণ্য, সব ধরনের গ্লাভসসহ সার্জিকেল গ্লাভস, পেপার ও পেপার বোর্ড, রেলওয়ে স্লিপার, স্টোভস ও কুকারের যন্ত্রাংশ, ফিশ ফিলেটসহ হিমায়িত মাছের তৈরি খাদ্য, সব ধরনের তরকারি, সুপারি, ম্যাংগোস্টিন ফল, আপেল, পেয়ারস, চেরি ফল, পাল্ম, কমলা, ম্যালোনস, তরমুজ, আঙ্গুরসহ সব ধরনের তাজা ও শুকনো ফল, কিসমিস, ব্ল্যাক টি, তরল গ্লোকুজ ও গ্লোকুজ সিরাপ, জেম, জেলি, মার্মালেড, বাদাম, পেস্তা, আঙ্গুরসহ আমদানিকৃত সব ধরনের ফলের জুস, ভেজিটেবল জুস, সব ধরনের সস, সসেজ, আইসক্রিম, বিদেশী মিনারেল ওয়াটারসহ সব ধরনের বিদেশী পানীয় ইত্যাদি।

দাম কমতে পারে

তথ্য-প্রযুক্তির মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ কার্ড, এসডি কার্ড, মেমোরি কার্ড, সার্ভার রেক, সিরামিক শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লজেন্স, বিস্কুট, চানাচুর, জুতা, স্যান্ডেল, নারকেল তেল, লন্ড্রি সাবান, ফলের জ্যাম ও জেলি, পিভিসি পাইপ ও বিউটি পার্লার, বাথটাব, বেসিন, কমোড, ধান-গম মাড়াই যন্ত্র, চালের কুঁড়ার তেল, গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র, রিকন্ডিশন গাড়ি, আমদানিকৃত রেফ্রিজারেটর ও মোটরসাইকেল, নিউজপ্রিন্ট কাগজের কাঁচামাল ওয়েস্ট পেপার, অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল, পাম অলিন, ক্রুড সানফ্লাওয়ার তেল ও বীজ, মা ও শিশুর জন্য নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট, ইনসুলিনের কলম, এলইডি টিউব লাইট, সয়াপ্রুটিনযুক্ত খাদ্য, ছাই, রেফ্রিজারেটর শিল্পের সেলিকা জেল, কপার অক্সাইড ও হাইড্রো অক্সাইড, অটোমেটিক সার্কিট ব্রেকার, ফার্নিচার শিল্পের পার্টিকেল বোর্ড, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন আছে এমন শিল্পের কিছু কাঁচামাল, মোটরসাইকেল শিল্পের ইগনিশান মটর, রোলার চেইন, আইসক্রিম শিল্পের ফ্রোজেন বক্স, মেটালের ফার্নিচার, ওষুধ শিল্পের মেশিনারি ও প্রয়োজনীয় ৪৬টি উপকরণ, গর্ভবতী মহিলাদের নিউট্রিয়াল সাপ্লিমেন্ট, জাহাজ শিল্পের কাঁচামাল, উচ্চক্ষমতার ওয়েল্ডিং রড ইত্যাদি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো
Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali