দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বানিজ্যিক মহাকাশ সংস্থা মুন এক্সপ্রেস সম্প্রতি চাঁদে অবতরণের জন্য এমএক্স-১ নামের নতুন এক ধরনের ‘লুনার ল্যান্ডার’ এর ডিজাইন উন্মোচন করেছে। আকারে ছোট এবং অপেক্ষাকৃত সস্তা এই লুনার ল্যান্ডারকে ‘মহাকাশের আইফোন’ বলে উপাধি দিয়েছে সংস্থাটি।
গত সপ্তাহে আমেরিকার লাস ভেগাসের অটোডেস্ক ইউনিভার্সিটি কনফারেন্সের সমাপনী দিনটিতে এই লুনার ল্যান্ডার উন্মোচন করা হয়। এর আগে কোম্পানিটি জানিয়েছিলো যে, রোবোটিক প্রযুক্তিতে তৈরি মানুষবিহীন এমএক্স-১ নামের এই লুনার ল্যান্ডার বা অবতরণিকা একই সাথে অনেকগুলো কাজ করতে সক্ষম। এরা বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ এবং প্রেরণ করতে পারবে। মাল বোঝাই এবং খালাস করতে পারবে। আর এইসব কাজই হবে প্রচলিত মহাকাশ প্রযুক্তিতে যে খরচ হয়, তার ভগ্নাংশের সমান।
স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯ নামের বানিজ্যিক উৎক্ষেপক দিয়ে এই লুনার ল্যান্ডারকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে। সেখান থেকে নিজস্ব রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করে এটি চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবতরণিকাটি অনেকটা কফি টেবিলের মতো, এবং এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি স্যাটেলাইটগুলো যে কক্ষপথে থাকে, সেই কক্ষপথ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চাঁদের মাটিতে নামতে পারে। ৬০০ কেজি ওজনের এই নতুন লুনার ল্যান্ডার সম্পর্কে উল্লেখ করার মতো আরেকটি দিক হলো, এটি সৌরশক্তির সাহায্যে চলতে সক্ষম। এছাড়া হাইড্রোজন পারওক্সাইড নামের রকেট জ্বালানিতে চলার ব্যবস্থাও থাকবে। এই জ্বালানীগুলোই এই মহাকাশযানের ব্যবহার ও তত্ত্বাবধানের খরচ কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া চাঁদের পৃষ্ঠের জমে থাকা পানি থেকে রকেটের জ্বালানী তৈরি করে নেয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
প্রস্তুতকারক কোম্পানি মুন এক্সপ্রেস আশা করছে ২০১৫ সাল নাগাল তারা এই অবতরণিকা চাঁদে পাঠাতে পারবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল