দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের মুখে দুর্গন্ধ থাকে। আর এই দুর্গন্ধ নিয়ে লোকালয়ে যেতে ভয় পান। তাদের জন্য কদম ফুল এক মহৌষধ। কদমের ছাল একশিরা রোগেও বিশেষ উপকারী।
কদম ফুলে বেশ কিছু গুণাগুণ রয়েছে। কয়েকটি কদম ফুল নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে পানিতে সিদ্ধ করতে হয়। সেই সিদ্ধ পানি নিয়ে দিনে-রাতে কয়েকবার কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। প্রবোল জ্বরের সময় পথ্য হিসেবে কদম ফুল খুবই উপকারী একটি সহযোগী পথ্য। প্রবোল জ্বরে তৃষ্ণা পেলে কদম ফলের রস খেলে পানির পিপাসা কমে আসে।
আধুনিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, কদম গাছের ছালে রয়েছে সিনকোনা জাতীয় পদার্থ। এটাই নেশার আবেশ তৈরি করে। কদম গাছ যে ওষধী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ তান্ত্রিকরা উপলব্ধি করেছিলেন- কোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়াই।
আমদের দেশে একশিরা রোগে কদম পাতার ব্যবহার খুবই প্রাচীন। আয়ুর্বেদার্য শিবকালী ভট্টাচার্যের মতে, যদি কদম গাছের ছালকে চন্দনের মতো বেটে কোষে লাগিয়ে কদম পাতা দিয়ে বেধে দেওয়া হয় তবে ব্যথা ও ফোলা কমে যায়। তাই আসুন কদম ফুল ও এর ছাল নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে উপকৃত হই।