দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুলের খুশকি আমাদের একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে শীতের এই শেষে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। চুলের খুশকি দূর করতে কি করা যেতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই আজকের এই প্রতিবেদন।
শীতের সময় সবার চুলেই কম বেশি খুশকির উপদ্রব দেখা যায়। তাই শীতের শুরু থেকে শেষ অবধি চুলের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত। এই সময় আবহাওয়া কিছুটা সুষ্ক থাকে বলে স্কিণও সুষ্ক হয়ে যায়। যেহেতু স্কিণ সুষ্ক থাকে সে কারণে মাথায় খুশকিও হয়। ধুলা-বালিও এ সময় প্রচুর থাকে। এজন্য এন্টি ড্যানড্রাফট শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করার আগে নারিকেলের তেল হালকা গরম করে মাথায় ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। তারপর এন্টি ড্যানড্রাফট শ্যাম্পু লাগিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। শীতের এই শেষের সময় চুলের কিছুটা বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।
# মেহেদির সঙ্গে ডিম বা ডিমের কুসুম মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। যাদের চুল শুষ্ক বা রুক্ষ্ম তারা চুলে ডিমের কুসুম মেশাবেন। আর যাদের চুল তেল তেলে ভাব বেশি তারা ডিমের সাদা অংশ মেশাবেন। ১৫ দিন পর অথবা এক মাসে এক দিন এভাবে লাগাতে হবে। এগুলো লাগানোর আগে মাথা ভালো ভাবে অয়েল ম্যাসেজ করতে হবে।
# এ সময় টক দই আর লেবুর রস মাথায় লাগিয়ে শ্যাম্পু করলে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
# খুশকির জন্য নিম পাতা খুবই উপকারী। ৮টি তুলসি পাতা, ৮/১০টি নিম পাতা, ১টি টমেটো এবং ৫/৬টি নিশিন্দার পাতা একসঙ্গে বেটে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তাতে খুশকি চলে যাবে।
# প্রতিদিন চুল ব্রাশ করলে মাথায় রক্ত চলাচল বাড়ে এবং মৃত কোষ ঝরে পড়ে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে চুল ব্রাশ করতে হবে।
# মাথায় মাঝামাঝি হালকা গরম অলিভ অয়েল মাখা যেতে পারে। এতে চুলের উপকার হয়।
# ম্যাসেজ করলেও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
# শ্যাম্পু করার পর লেবু অথবা ভিনেগার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত তেল কমে যায় এবং চুল ঝরঝরে হয়।
# চুলের সুষ্কতা ও প্রাণহীন ভাব কাটাতে কণ্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
# প্রচুর পানি পান করলে চুল যেমন ভালো থাকবে তেমনি ত্বকও সুন্দর থাকবে।
# মাথায় গরম পানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। গরম পানি তেলে নি:সরণের পরিমাণ বাড়ায়। তাই মাথায় ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে।