দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য আজ থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামছে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে মাঠে নামতে শুরু করেছে সেনাবাহিনী। আজ ২৬ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শুরু করবে সেনা সদস্যরা। ৫৯টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। যে ৫টি জেলায় সবকটি আসনে ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, সেগুলো (চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও জয়পুরহাট) বাদে বাকি জেলায় ইতিমধ্যেই মধ্যে সেনা সদস্যরা যাওয়া শুরু করেছেন। নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভোটের পরও ৪ দিন, ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে অবস্থান করবে সেনা সদস্যরা। প্রতি জেলায় সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন অর্থাৎ ৭৪০ জন সেনা সদস্য পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ১৪৬টি আসনের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৬৭০ জন। ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১৮ হাজার ১২৩টি। ইতিমধ্যেই ১৫৪টি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ওই আসনগুলোতে আর ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচনী দায়িত্বের বাইরে সেনা সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করবেন না।
# বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩
# ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন।
# প্রতি জেলায় থাকবে এক ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্য (৭৪০ জন)।
ইতিমধ্যেই শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বেশ কদিন ধরেই অবস্থান নিয়ে আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল বুধবার রাত থেকেই সেনাবহর বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে জেলাগুলোর উদ্দেশে শুরু করে যাত্রা। নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের পাশাপাশি সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ থেকে একটি সমন্বয় সেলও কার্যকর থাকবে। জেলায় সেনা ক্যাম্প মোতায়েন করা হলেও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে তারা সংশ্লিষ্ট জেলার যে কোনো জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। মূলত তারা কাজ করবেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। সিইসি জানান, আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। এরই অংশ হিসেবে গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনী কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।