দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আজকের (২৯ ডিসেম্বর) তাঁদের রাজধানীমুখী ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি পুলিশ ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েছে। রাজধানী ঢাকার সবদিকের প্রবেশ পথে পুলিশী প্রহরার কারণে কেও মিছিল নিয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢুকতে পারেনি।
তফসিল স্থগিত করে আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবিতে ১৮ দলীয় জোট এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসভবনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সড়কটি পুরোপুরি পুলিশী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে বালির ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে। মূলত বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। গতকাল রুহুল আমিন গাজীসহ বেশ ক’জন সাংবাদিক নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনে গিয়ে অবশ্য সাক্ষাৎ করেছেন।
দলের একজন সিনিয়র নেতা সংবাদ মাধ্যমকে রাতে বলেছেন, বিরোধী নেত্রীকে পুলিশ বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারের বিশেষ যে পুলিশ প্রোটোকল তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মবিন চৌধুরী আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পরে খালেদা জিয়া তার বাসভবন থেকে গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন জানা যায়, সরকারি তরফ থেকে ওনার জন্য মোতায়েন করা বিশেষ পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ‘তার পরপরই খালেদা জিয়ার বাসার সামনে রাস্তার ওপরে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর গাড়ি বেরন নিষিদ্ধ করা হয়েছে’ বলে দাবি করেন শমসের মবিন চৌধুরী। ‘বাসায় এখন উনি অবরুদ্ধ এবং ওনাকে বাসা থেকে বেরুতে বারণ করা হয়েছে,’ বলে দাবি করেন শমসের মবিন চৌধুরী।
এদিকে আজ ভোর থেকেই রাজধানীর সকল প্রবেশ পথে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। রাজধানীতে কোন মিছিল ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অফিসগামী মানুষদের সার্চ করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। গাবতলী, বাবু বাজার ব্রিজ, অপরদিকে উত্তরা, সায়দাবাদ অঞ্চলসহ প্রতিটি প্রবেশ পথে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তবে বিএনপি আজ ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে যে সমাবেশের ডাক দিয়েছিলো সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমাবেশে কেও হাজির হতে পারেনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।