দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনি গ্রহ। সম্প্রতি শনি গ্রহের বলয়ের প্রান্ত সীমায় এক রহস্য জনক বস্তুর অবস্থান নিশ্চিত করেছে নাসার পাঠানো মহাকাশ যান ক্যাসিনি। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, রহস্য জনক বস্তুটি শনির নতুন কোন উপগ্রহ হতে পারে যা সৃষ্টির শুরুর দশাতে রয়েছে।
শনি গ্রহটি তার আকর্ষণীয় বলয়ের কারণেই সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তুলনায় সৌন্দর্য্যের উৎকর্ষে রয়েছে, যা মহাজাগতিক ক্যানভাসে সৃষ্টি করেছে এক বিমূর্ত চিত্র। গ্রহটির চারপাশে ঘূর্ণায়মান বিশাল আকারের বলয় বা রিং রয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আবিষ্কৃত বলয় বা রিং টি এতটাই বিশাল আকৃতির যে এর ভেতর একশ কোটি বা এক বিলিয়ন পৃথিবী ভরে রাখার মত জায়গা রয়েছে। বলয়টির বেশিরভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে বরফ, ধলাবালি ইত্যাদি।
শনি গ্রহ নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণার উদ্দেশ্যে নাসা ক্যাসিনি (Cassini) নামে মহাকাশ যান প্রেরণ করে ১৯৯৭ সালে। মহাকাশ যান ক্যাসিনি ২০০৪ সালে শনির কক্ষপথে গিয়ে পৌছায়। তখন থেকে মহাকাশ যানটি ছবি এবং ভিডিও পাঠানো শুরু করে। Cassini মহাকাশযান থেকে পাঠানো শনিগ্রহ এবং এর দুটি উপগ্রহের অসাধারণ কিছু ছবি! – শিরোনামের আগের এক লেখাতে আমরা জেনেছিলাম।
বৃটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল মুরে সর্বপ্রথম ক্যাসিনির পাঠানো ছবিতে রহস্যজনক বস্তুর স্পট টি শনাক্ত করেন। শনির বলয়ের ১০৭ টি ছবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটি ধরা পড়ে। গত বছর ১৫ এপ্রিল ক্যাসিনি বস্তুটির ছবি তুলে। ১৯ এপ্রিল কার্ল মুরে ছবিগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বস্তুটির নামকরণ করেন পেগি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পেগি কার্ল মুরের শাশুড়ির নাম এবং ঐদিন ছিল তার জন্মদিন। শাশুড়ির জন্মদিন কে স্মরণীয় রাখতে তিনি বস্তটির নাম পেগি রাখেন।
পেগি খুবই ক্ষীণ আকৃতির। মাত্র ০.৬ মাইল বা ১ কিলোমিটার ব্যাসের বস্তুটি শনিগ্রহের সামনে কিছুই না। পেগি আসলে উপগ্রহ কিনা এ বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এ বছর জানুয়ারি মাসের পর ক্যাসিনি মহাকাশ যান পেগি’র আরো নিকটবর্তী হবে। তখন আরো ভালো ছবি পাওয়া সাপেক্ষে পেগি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, উইকিপিডিয়া