দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই আমাদের সামনে আসে যা আমাদের জানা না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। আজ দি ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হবে ঐ সব কাজ যা আমাদের স্কুল থেকেই শিখে নেয়া উচিৎ।
আমাদের স্কুলের পাঠ্য সূচিতে কত কিছুই না শিক্ষা দেয়া হয়। বেশিরভাগ শিক্ষা হয় নৈতিক না হয় কারগরি তবে জীবন মুখী কিছু সাধারণ শিক্ষা রয়ে যায় যা আমাদের স্কুলে থেকেই শিখে আসা উচিৎ।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন কাজ গুলো আমাদের স্কুলেই শিক্ষা নেয়া উচিৎ:
১) কিভাবে চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে হবেঃ
আমাদের সবার পড়ালেখা করার পেছনে একটি উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্য শিক্ষা গ্রহণ এবং শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকরি করা। তবে অনেক শিক্ষার্থী চাকরির সাক্ষাৎকারের বিষয়ে না জানা থাকাতেই অস্বস্তিতে পড়েন সাক্ষাৎকার পর্বে গিয়ে। অনেকের মনে ভয় থাকে সাক্ষাৎকার নিয়ে। অথচ আমাদের স্কুল থেকে যদি এই বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বিস্তারিত জানানো হত তবে চাকরির সাক্ষাৎকারের বিষয়ে অমূলক ভয় কেটে যেত।
২) ছোট খাট ভুল দৃষ্টি গোচরঃ
আমাদের চার পাশেই অনেক কিছু থাকে যা অনেক সময় পরিপাটি থাকে না। কিন্তু এসব আমাদের চোখে পড়েনা। স্কুল থেকেই যদি খুটি-নাটি বিষয় সমূহ চোখে পড়ার বিষয়ে বিশেষ ধারণা দেয়া হয় তবে ব্যক্তির পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে দেশও উপকৃত হবে। শিশুদের যদি স্কুল থেকেই খুটিনাটি ত্রুটি সমূহ সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায় তবে তারা দেশের রাস্তা ঘাটে নানান অনিয়ম সহজ দেখতে পাবে।
৩) আত্মরক্ষাঃ
আমাদের দেশ একটি সহিংসতা প্রবণ দেশ। এ দেশে কখন কোথায় কে ছিনতাই করে, কিংবা বোমা ছুড়ে মারে তা কেউ জানেনা। কিন্তু আপনার যদি আত্মরক্ষার কৌশল জানা থাকে তবে অন্তত নিজেকে কিংবা আসেপাশের মানুষদের আততায়ীর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
৪) বুদ্ধিমত্তাঃ
যেকোনো কাজ করতে হলে একটু উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটালেই কাজটি যত কঠিন হোকনা কেন তা সহজেই করে ফেলা যায়। অতএব উপস্থিত বুদ্ধির বিষয়ে জ্ঞান দেয়ার ব্যবস্থা স্কুল থেকেই করা উচিৎ।
৫) কিভাবে টাই বাঁধতে হবেঃ
টাই ভদ্র লোকের ফ্যাশন। প্রায় সকল স্মার্ট পেশাতে আপনাকে টাই পড়তেই হয়। সুতরাং স্কুলে থাকা অবস্থায় সকল ছাত্রের জন্য টাই বাঁধা শিক্ষা পাঠে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী।
৬) সাধারণ জ্ঞানঃ
শিশুদের যেকোনো কাজ করার আগে কিংবা পরে সম্ভাব্য ঝুঁকি কিংবা ফলাফলের বিষয়ে অবগত হওয়া স্কুল থেকেই শিক্ষা দেয়া উচিৎ। তা না হলে শিশুদের জীবনে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা ভুল কর্ম সম্পাদন হতেই থাকবে এতে তাদের কর্মক্ষেত্রে নানান অঘটন ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
৭) রান্নার জ্ঞানঃ
সকল মানুশের জন্য কিছু না কিছু রান্না করার জ্ঞান থাকা দরকার। আপনি সব সময় কোন রাঁধুনির সংস্পর্শে থাকবেন তা নয়! আপনাকে কখনো না কখনো রান্না করতে হতেই পারে। সুতরাং স্কুল থেকেই রান্নার বিষয়ে ধারণা থাকা উচিৎ।
৮) সেলাই এর জ্ঞানঃ
সেলাই বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা সকল মানুশের জন্য দরকারি। জামা কাপড় আমাদের সব সময় পড়তে হবে সুতরাং মাঝে মাঝে সেলাই করতেই হতে পারে। অতএব সেলাই সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান স্কুল থেকেই দেয়া জরুরী।
৯) প্রথমিক কোডিং জানা থাকাঃ
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এখন বাংলাদেশ ও দিন দিন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ নিচ্ছে। এখন আপনাকে কম্পিউটারের প্রাথমিক কোডিং সম্পর্কে ধারণা রাখতেই হবে। সুতরাং প্রাথমিক কোডিং বিষয়ে স্কুল থেকেই ছাত্রদের ধারণা দেয়া দরকার। Q-Basic – থেকে শুরু হতে পারে প্রোগ্রামিং শিক্ষা।
কুকুর তো বাংলাদেশের রাস্তা ঘাটে কম দেখা যায়না। তো এমন ঘটনা অহরহ যে বাংলাদেশের রাস্তা ঘাটে কুকুরের কামড়ে অনেকেই আহত হন। আপনি যদি কুকুরের মনোভাব কিংবা শারীরিক ভাষা বুঝতে পারেন তাহলে কুকুর কামড় বসানোর আগেই নিজেকে সাবধান করে নিতে পারেন। সুতরাং আমাদের দেশের স্কুল সমূহে কুকুরের শারীরিক ভাষা বুঝার বিষয়ে বিশেষ পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
ধন্যবাদান্তেঃ Buzzfeed