দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের শিশুকাল কিংবা কৈশোরে কে না ফিরে যেতে চায়। জাপানিজ ফটোগ্রাফার চিনো অসুকা তাঁর শিশুকালে ফিরে গেলেন ভিন্ন পদ্ধতি। শিশু বয়সের ছবিগুলোতে বর্তমানের ছবি ঢুকিয়ে সেই স্মৃতিকেই যেন ধরে রাখলেন তিনি। আসুন তাঁর সেই শিশুকাল স্মৃতি বিজড়িত ছবিগুলো দেখে নিই।
ফটোগ্রাফার এত নিখুঁত ভাবে কাজটি করেছেন যেখানে আলো – ছায়ার কাজ, এমনকি প্রতিটা ছবির কালার একই রয়েছে। যে ডিজিটাল প্রক্রিয়া সেটাকে এক হিসাবে যেন টাইম মেশিনই বলা যায়।
১) ফ্রান্স (১৯৮২+২০০৫)
ফ্রান্সের রেস্টুরেন্টের সামনে ১৯৮২ এবং ২০০৫ সালের ছবি। ছবি দেখে মনে হচ্ছে দুইজনই পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ব্যাপারটি ভিন্ন – দুইজনই একই ব্যক্তি।
২) জাপান (১৯৭৬+২০০৫)
এবার জাপানের সমুদ্র সৈকতের ছবি। মনে হচ্ছে দুইজন মনের আনন্দে একসাথে সমুদ্রের হাওয়া উপভোগ করছে।
৩) জাপান(১৯৭৯+২০০৬)
এই ছবিটা জাপানের। সেখানকার আঞ্চলিক পোষাকে সজ্জিত দুই লাস্যময়ী শিশু এবং তরুণী দুই দিকে তাকানো – ব্যাপারটা এমন মনে হচ্ছে। অবাক হওয়ার মত ব্যাপার – কি জীবন্ত ফটো এডিটিং।
৪) স্পেন(১৯৭৫+২০০৫)
শিশুকালে স্পেনে ট্রেন ভ্রমণ স্মৃতিও তুলে এনেছেন ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। আশ্চর্যরকম – বুঝায় যাচ্ছে না এখানে কোন এডিটিং হয়েছে।
৫) জাপান(১৯৮১+২০০৫)
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভ্রমণের স্মৃতি বাদ থাকবে কেন। সেটিও বাদ পড়েনি। শিশুকালে এই ছবিও উঠে এসেছে এই ভাবে।
৬) ফ্রান্স(১৯৭৭+২০০৯)
পার্কে বসা দুই প্রজন্মের বিষণ্ণ মানুষ – ছবিটি দেখে তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা ভিন্ন তা উপরেই বলা হয়েছে। সুতরাং অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৭) ফ্রান্স(১৯৮৪+২০০৫)
পার্ক, ট্রেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সব কিছুর স্মৃতি ফিরিয়ে আনা যেহেতু হয়েছে বেডরুমই বা বাদ যাবে কেন। অদ্ভুত সুন্দর আরেকটি ছবি। সব ছবির মাঝে একটি ব্যপার যা ভুলে যাবেন না, এরা দুইজনই একই ব্যক্তি।
তথ্যসূত্রঃ বোরডপান্ডা