দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবার সেই প্রসঙ্গ। জিয়া খান। ভারতীয় চলচ্চিত্রের উদীয়মান অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যার পর তাকে খুন করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করলেও পুলিশের চার্জশিটে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর পর প্রথম থেকে এই দাবিই করেছেন তার মা রাবিয়া খান। কিছু প্রমাণও দিয়েছিলেন তিনি। জিয়া খানের মৃত্যু নিয়ে যখন পুরো ভারত জুড়ে তোলপাড় ঠিক সেই মুহূর্তে জিয়ার মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে বুধবার আন্ধেরির আদালতে চার্জশিট পেশ করল মুম্বাই পুলিশ। ৪৪৭ পাতার ওই চার্জশিটে জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। ভারতীয় আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে দোষী স্বাব্যস্ত হলেও সুরুজের লঘু সাজাই হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে মুম্বাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে জিয়ার ঘর থেকে ওড়না পেচানো তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরুজের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিই জিয়ার মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল পুলিশ। জিয়ার মা রাবিয়া খানের দাবি ছিল, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। রাবিয়া খানের বক্তব্য ছিল, জিয়ার ঘাড়ে যে দাগ মিলেছে, তা ওড়নার দাগ হতে পারে না। তাছাড়াও তার ঠোঁটে, হাতে বেশ কিছু ক্ষত ও রক্তের দাগ ছিল। পুলিশি রিপোর্টে অবশ্য তা অস্বীকার করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, জিয়ার ঘাড়ের দাগ তাঁর মসলিন ওড়নারই। রাবিয়া খান অবশ্য পুলিশের এমন যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁর আইনজীবী দীনেশ তিওয়ারিও বলেছেন, আগামী সপ্তাহেই বোম্বে হাইকোর্টে যাবেন তারা।