দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীরের আখেরী মোনাজাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বশান্তি কামনা করা হয়েছে।
শুক্রবার শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত আজ সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ১০.৫৫ মিনিটে শেষ হয়। আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। মহান রাব্বুল আলামিনের হেদায়েত লাভের আশায় জড়ো হওয়া টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ যেনো এক বিশ্ব মুসলিমের ঢল নেমেছিল। লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের আমিন আমিন ধ্বনি পুরো টঙ্গী এলাকা মুখরিত করে ফেলে। মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের আশায় প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একত্রিত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায়। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য সকল পাপাচার থেকে বিরত থেকে মহান আল্লাহর পথে নিজেকে সমর্পণ করা। মহান আল্লাহর রহমত, বরকত আর হেদায়েত লাভ করা। লক্ষ লক্ষ মুসলমান মহান আল্লাহর কাছে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে রহমত, বরকত ও হেদায়েতের লাভের জন্য মিনতি করেন। ছোট, বড়, বৃদ্ধ সকলেই সমবেত হয়েছিলেন আখেরী মোনাজাতে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মুসলমানও এই বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, সৌদি আরবসহ বহু মুসলিম দেশ থেকে বাংলাদেশের এই বিশাল মুসলিম সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। আর তাই সমাবেশের স্থান থেকে হজ্বের পরেই ‘দ্বিতীয় হজ্ব’ বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে এই বিশ্ব ইজতেমাকে।
অতিরিক্ত লোক সমাগম হওয়ার কারণে বিশ্ব ইজতেমা গত কয়েক বছর যাবত দুটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম পর্ব ছিল গত সপ্তাহে। প্রথম পর্বে ৩২টি জেলা এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩২টি অংশগ্রহণ করে এই বিশ্ব ইজতেমায়। আজ দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমবেত হন টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী এই তুরাগ তীরে। প্রায় ১০ হাজার আইন শৃংখলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে ইজতেমা স্থলে। আবার আকাশ পথে হেলিকপ্টারে টহলের মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। শত শত সিসি টিভির মাধ্যমে পুলিশ র্যাবসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা বিশেষভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছেন মুসুল্লিদের। এবার ছিল বিশ্ব ইজতেমার ৪৯ তম পর্ব।