দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০১৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে সকল প্রকার ক্রেডিট কার্ড বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এবং পরিবর্তিত নতুন কার্ড এ থাকছে চিপ এবং পিন টেকনোলজি। ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জারনাল এর মতে, এ প্রযুক্তি সারা বিশ্বে প্রচলিত থাকলেও মার্কিনীদের কাছে তা নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিবে।
এ পরিবর্তন ভিসা এবং মাস্টার কার্ড উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এতে করে কার্ড এর পিছনের কালো দাগ এবং কোন ধরনের সাইনিং ডট থাকছে না। ইতি মধ্যে মার্কিনীরা যারা ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন তারা আন্তত একটা দিক বুঝতে পেরেছেন যে কার্ড এর দিক থেকে তারা কতটা ইউরোপিয়ানদের থেকে পিছিয়ে। আমেরিকান বর্তমান ক্রেডিট কার্ড সিস্টেম শুধু মাত্র আমেরিকায়ই ব্যাবহার যোগ্য কারণ তাদের যুগের সাথে তাল মিলাতে একটু দেরি হয়ে গেছে, যার ফল স্বরূপ মার্কিনীদের পোহাতে হচ্ছে বিশাল সমস্যার। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে এ পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পরছে মার্কিন পর্যটকরা।
আমেরিকান ক্রেডিট কার্ড পলিসিতে দেখা যায় তারা অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রায় ১০ বছর পিছেয়ে আছে। আদিম এ পদ্ধতির ফলে মার্কিনীদের পড়তে হচ্ছে প্রচণ্ড ঝুকির মুখে। আহরহ তাদের কার্ড হ্যাক করা হচ্ছে এবং অনেকেই সর্বস্ব হারাছে। আমেরিকায় নতুন প্রযুক্তি নির্ভর কার্ডে যোগ হচ্ছে একটি মাইক্রো চিপ এবং টাকা উত্তোলন এবং ব্যালেন্স জানতে একটি গোপন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে কার্ড হ্যাক হবার ঝুকি অনেকাংশে কমে যাচ্ছে এবং লেন-দেনের ক্ষেত্রেও সহজতর হচ্ছে।
ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ডিজিটাল চুরির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়েছে তাদের কার্ড পরিবর্তন করতে। কার্ড চোরাকারবারির চক্ররাও ক্রমশ ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দিচ্ছিল। তাই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সাল নাগাদ সকল প্রকার ডেবিট, ক্রেডিট এবং মাস্টার কার্ড পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ বিজনেসইনসাইডার