দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির অডিও বার্তা বলা হলেও আসলে ওটি ছিল ভিডিও। শুধু মূল বক্তব্যটি অডিও হওয়ায় ওই ভিডিওতে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতেই পুলিশী এ্যাকশনের স্টিল ছবি এতে সংযোজন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আকারে প্রকাশ করা হয় এই সংবাদটি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাদেন বাহিনীর কোন জেহাদের ডাক এটিই প্রথম। বাংলাদেশ কখনও উগ্র সন্ত্রাসবাদীকে প্রশ্রয় দেয়নি। মাঝে জেএমবি নামে একটি উগ্র সংগঠনের আবির্ভাব ঘটে। সেটিও সরকার নিষিদ্ধ করে মোটামুটিভাবে নির্মূল করতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু গতকালের বিষয়টি বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এই সংবাদ নিয়ে শুধু দেশ নয় বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কারণ বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। এদেশের মানুষ কোন প্রকার হিংসা, হানাহানি বা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না।
তবে ভিডিওটি আসলে আরবী ছিল তা বোঝা যায় ছবি দেখে। যে ছবি এই নিউজের সঙ্গে আমরা প্রকাশ করলাম তাতে রয়েছে সব কিছু আরবীতে। অথচ আগের সংবাদে প্রকাশিত ছবিটি (নীচের ছবিটি) ছিল বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা। তাতে বোঝা যায় এটিতে বাংলা ও ইংরেজি সংযোজন করা হয়েছে পরে। যাতে বাঙালিরা বুঝতে পারে সেজন্যেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল এমনটি করেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কে করলো এই কাজটি? এমন প্রশ্ন এসেছে সবার মনে। তবে দু’একদিন গেলেই বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। যদি ভিডিওতে অন্যকেও কিছু নতুন সংযোজন করে থাকে তবে যেহেতু আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে এসেছে, সেহেতু এটি নিয়ে লাদেন বাহিনীর কোন প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বাংলাদেশ এমন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকলেও কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল অনলাইন মাধ্যমে চলে আসে ওই অডিও যাকে আমরা ভিডিও হিসেবেই উল্লেখ করছি। কারণ ওই ভিডিওতে অডিও বক্তব্য সংযোজন করা হয়েছে। ১৪ মিনিট ৫০ সেন্ডের ওই ভিডিওতে প্রথম ২ মিনিট ৩৭ সেকেণ্ড বিভিন্ন পুলিশী এ্যাকশনের স্টিল ছবি দেওয়া হয়েছে। এসব স্টিল ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো বাংলাদেশের। আবার কোরআন শরীফ পোড়ানোর স্টিল ছবিও দেখানো হয়েছে ওই ২ মিটিন ৩৭ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে। এরপর জাওয়াহিরির ছবিসহ অডিওটি প্রচার করা হয়েছে ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে। আরবীতে দেওয়া অডিও বক্তব্যের সঙ্গে ইংরেজিতে তরজমা দেখানো হয়েছে ভিডিওটিতে। আবার ১১ মিনিট ২০ সেকেন্ডে গিয়ে সাক্ষাৎকারমূলক কিছু ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে। ১২ মিনিট ৫ সেকেন্ডে আবার জাওয়াহিরির বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। এর পরেও রয়েছে অন্যদের বক্তব্য।
দেখুন জাওয়াহিরির সেই আলোচিত ভিডিওটি
http://www.youtube.com/watch?v=S9YQdxo3hZg
ওই ভিডিও বার্তায় আরও বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের মুসলিম ভাইয়েরা, ইসলামের বিরুদ্ধে যারা ক্রুসেড ঘোষণা করেছে, তাদের প্রতিরোধ করার জন্য আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। উপমহাদেশ ও পশ্চিমের শীর্ষ ক্রিমিনালরা ইসলামের বিরুদ্ধে, ইসলামের নবীর বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে, মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, যাতে আপনাদেরকে তারা অবিশ্বাসীদের দাসে পরিণত করতে পারে।”
বাংলাদেশকে ‘বিরাট এক জেলখানা’ হিসাবে তুলে ধরে এই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই দেশে মুসলমানদের সম্মান আজ ভূলুণ্ঠিত।’
“বাংলাদেশ আজ এমন এক ষড়যন্ত্রের শিকার, যাতে ভারতীয় এজেন্ট, পাকিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্থ সেনা নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষমতালোভী, বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদরাও জড়িত।” বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ভিডিও চিত্রে।