দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাজধানী থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে এই ঘটনার ভিডিও নিযে চলছে তোলপাড়। আলোচিত সেই ভিডিওতে কি ছিল?
এদিকে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে র্যাব। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ‘জড়িত’ ৭ জনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার র্যাব মুখপাত্র এটিএম হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার এবং দলীয় কোন্দলের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।’
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন হাজারীর মামাতো ভাই আবিদুল ইসলামও (২২) রয়েছেন। আবিদুলের মা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা যায়।
অপর দিকে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগের ২ নেতার নাম জানিয়েছেন। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা শুধুই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। এরা হলেন, ফুলগাজী উপজেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক জিহাদ চৌধুরী ও ফেনী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিপলু। ২০ মে ফেনী শহরে যে এলাকায় প্রকাশ্যে একরামকে গুলি চালিয়ে গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, শিপলু ওই এলাকার কাউন্সিলর এবং জিহাদের বাসাও ওই একই এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই উক্ত জিহাদ পলাতক রয়েছে। অপরদিকে শিপলু গতকাল শনিবার ফেনী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ ধারণা করছে এই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
আলোচিত সেই ভিডিওতে কি ছিল
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় পাশ্ববর্তী এক ব্যক্তি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এই ভিডিওটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করে।
সেই আলোচিত ভিডিও
উল্লেখ্য, ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ২০ মে সকাল ১১টায় ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে গুলি করে পুড়িয়ে নিশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।