দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটযুদ্ধ আজ শুরু হয়েছে। একদিন আগেই শেষ হয়েছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।
নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ৫ দিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে মাঠে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। আগেই নির্বাচনী উপকরণ পৌঁছে গেছে নির্বাচনী এলাকায়।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ৯৭ উপজেলায় সব ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ৯৭ উপজেলায়।
নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এবং ইসি’র সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাচনে নির্দলীয় নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি অংশ নেয়ায় এ নির্বাচন অতি গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে নির্বাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাচনী পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে নির্বাচন কমিশনই গঠন করা হয়েছে মনিটরিং সেল। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থেকে নির্বাচন মনিটরিং করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও ইসি কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ৯৭ উপজেলায় মোট ১২৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪২৯, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীর সংখ্যা ৫০৫, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা ৩২৫। মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৪ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩ জন। ৯৭ উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৮৯টি, ভোটকক্ষ ৪২ হাজার ৭৫৬টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে মোট ৬৮৮৯ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৪২ হাজার ৭৫৬ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫৮০ জন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে।