দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও সুন্দরবনে হরিণ-বাঘ শিকারী ও চোরাকারবারিদের অপতৎপরতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঈদকে সামনে রেখে সুন্দরবনে হরিণ-বাঘ শিকারি ও চোরাকারবারিরা অপতৎপরতা শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণের মাংসসহ চোরা শিকারিদের আটক করেছে পুলিশ ও বনরক্ষীরা। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুন্দরবনে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। বনকর্মীদের ছুটি সীমিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বিশেষ মৌসুমে সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারিসহ চোরাকারবারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। ঈদকে কেন্দ্র করেও অন্যবারের মতো এবারও সেই সব গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আওতাভুক্ত মংলা, চাঁদপাই, জোংড়া, মৃগামারী, ঢাংমারী, নন্দবালা, হাড়বাড়িয়া, নিশানবাড়িয়া এলাকায় শিকারিদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়।
সম্প্রতি বনের এ এলাকা থেকে হরিণের মাংস ও জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়। কয়েকটি ঘটনায় চোরা শিকারিরা আটকও হয়। এ ছাড়া দস্যুরাও দফায় দফায় জেলেদের অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ আদায় করে। এ নিয়ে সমপ্রতি দুবার র্যাবসহ আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সঙ্গে দস্যুদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ অবস্থায় বন বিভাগ নড়েচড়ে বসতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকার ৪টি স্টেশন ও ১৯টি ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। একই সঙ্গে বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি সীমিত করে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে বন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা গত সপ্তাহ থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। ঈদের পরে সাত দিন এই রেড এলার্ট কার্যকর থাকবে বলে জানা গেছে।
সুন্দরবনের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত টহল কার্যক্রম চললেও প্রতি বছর ঈদ ও দুর্গা পূজার সময় সুন্দরবনে হরিণ-বাঘ শিকারি ও চোরাকারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যায়। চোরা শিকারিরা ইতোমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় শিকারিদের প্রতিরোধে বন বিভাগ পদক্ষেপ জোরদার করেছে। বন এলাকায় রেড এলার্ট জারি করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ জন্য সব স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়েছে। এর ফলে সুন্দরবনে চোরা শিকারিসহ অপরাধীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে বন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।