দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধনের বিষয়ে কম বেশি সকলের নানান কাহিনী জানা আছে। কিন্তু নিজের চোখের সামনে কাউকে গুপ্তধন পেতে দেখেছেন এমন খুব কম মানুষেরই এ যুগে সৌভাগ্য হয়েছে। সেরকম একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতির ভাগ্যে, তারা নিজেদের জমির মাটি খুঁড়ে খুঁজে পেলেন অমূল্য গুপ্তধন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক দম্পতি নিজেদের জমিতে হাঁটতে যেয়ে মাটির নিচে থেকে টিনের কৌটায় খুঁজে পান প্রায় ১৪২৭ টি সোনার মুদ্রা। এসব সোনার মুদ্রা কখনো ব্যবহারকারা হয়নি এবং সব গুলোই এখনো নতুন অবস্থায় রয়েছে। ফলে সব গুলো সোনার মুদ্রার আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ১ কোটি মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৭৬ কোটি টাকার সমমান।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন এসব সোনার মুদ্রা ১৮৪৭ থেকে ১৮৯৪ এর মাঝে তৈরি হয়েছিল। এসব মুদ্রা অত্যন্ত উন্নত সোনা দিয়ে তৈরি হয়েছে। তবে কে বা কারা এই সোনা মাটির নিচে কৌটায় ভরে রেখেছে তা অজানাই থেকে যাবে।
ঐ দম্পতি এক বিকেলে নিজেদের জমিতে হাঁটতে যেয়ে হঠাৎ টিনের কৌটা জাতীয় কিছু দেখতে পান মাটি থেকে কিছুটা বেড়িয়ে এসেছে। ফলে তাদের আগ্রহ জন্মালে তারা দ্রুত ঐ টিনের কৌটা মাটি খুঁড়ে বাইরে আনেন এবং খুলে দেখতে পান এসব সোনার মুদ্রা! এভাবে তারা কয়েকটি টিনের কৌটা খুঁজে পান। যার সব কয়টিতে মোট ১৪২৭ টি স্বর্ণ মুদ্রা হয়েছে। এসব মুদ্রার কোন কোনটি এতো মূল্যবান যে এক একটির দাম প্রায় ১০ লাখ ডলার ধরা হয়েছে।
David Hall নামের একজন মুদ্রা বিশেষজ্ঞ এসব স্বর্ণ মুদ্রা পরীক্ষা করেন। তিনি বলেন, “এটি সত্যি একটা গল্পের মত, এই দম্পতি নিজেদের জমিতে হাঁটতে গিয়ে টিনের বাক্স দেখতে পেয়ে মাটি খুঁড়েই উদ্ধার করেন এই বিপুল পরিমাণ গুপ্তধন।”
ভিডিও
http://youtu.be/U0oCnK8xhVo
এদিকে গুপ্তধন খুঁজে পাওয়া দম্পতি জানিয়েছেন তারা সাধারণ কোন মার্কেটে এই সোনার মুদ্রা বিক্রি করছেন না, তারা এসব মূল্যবান মুদ্রা বিক্রি করতে আমাজনকে ব্যবহার করবেন।
সূত্রঃ সিএনএন