দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা কত রকম মানুষের সাথেই না বসবাস করছি, সময় কাটাচ্ছি, কেও কর্মক্ষেত্রে কেও আবার প্রতিবেশী হিসেবে আবার কেও কেও সংসারেও। আজ আমরা দেখব কিভাবে আমরা আমাদের পাশের মানুষদের সাথে নিজেদের সম্পর্ক সুন্দর এবং ভালো রাখতে পারব।
সম্পর্ক একটি বড় বিষয়, কেও না চাইলে তার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন। তবে না চাওয়ার পর্যায়ে যাওয়ার কি দরকার? আপনার স্বভাব, চলন, ব্যক্তিত্ব যদি এমন হয় যে কেও আপনাকে খারাপ ভাবেই নিচ্ছেনা, এমন কি সবাই চাইছে আপনার সাথে সু সম্পর্ক রাখতে তাহলে বিষয়টি অবশ্যই দারুন হবে। চলুন জেনে নিই ঠিক কি কি ভাবে আপনি একজন মানুষের সাথে দারুন একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
আপনার উচ্চাকাঙ্খা
আপনার উচ্চাকাঙ্খা, আপনার পাশের মানুষ থেকে আস্তে আস্তে আপনাকে দূরে ঠেলে দেবে। আপনি যা পাওয়ার যোগ্য কিংবা যেটুকু পাওয়ার যোগ্য সেটুকুই আশায় রাখুন। বাড়তি পেতে চাইলেই সমস্যা বাড়বে। তাই বলে বলছিনা আপনি আশা ছেড়ে দেবেন! আশা করবেন তা অবশ্যই আপনার কাছের কিংবা পাশের মানুষটির সাধ্যের মাঝে জেনও থাকে, তবে আপনিও আশাহত হবেন না। আপনার পাশের মানুষটিও আপনার আশা পূরণ করতে পেরে খুশি হবে। সুন্দর সু-সম্পর্ক বজায় থাকবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলছে। যেমন ধরুন, আপনি আপনার পাশের মানুষটিকে সময় না দিলে সারাদিন টুইটার ফেসবুক এসব সোশ্যাল মিডিয়াতে মজে আছেন। নিজে বিষয়টি একবার ভাবুন, টুইটার ফেসবুক কি বাস্তব জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করছে? আপনার পাশের মানুষেরা কি আপনার থেকে একটু সময় দাবি করতে পারেনা? অতএব টুইটার ফেসবুকে সময় দেয়া কমিয়ে কাছের মানুষদের সময় দেয়ার চেষ্টা করুন।
সুন্দর সু-সম্পর্ক
আপনার উচিৎ সবার সাথে একটি সুন্দর সু-সম্পর্ক বজায় রাখা। আশেপাশে যারা আছে, সবার সাথে সুন্দর সু-সম্পর্ক থাকলে তাদের বিপদে যেমন আপনি এগিয়ে যাবেন, তারাও আপনার বিপদে পাশে দাঁড়াবে। তবে নিজের কাছের মানুষদের প্রাধান্য দিন, প্রয়োজনে কাছের মানুষের জন্য দূরের কারো সাথে দূরত্ব বজায় রাখুন। সবাইকে এক সাথে আপনার পক্ষে সন্তুষ্ট করা সম্ভব না। ফলে কাছের মানুষদের আগে বিবেচনায় রাখুন।
ক্ষমা করতে শিখুন
পাশের মানুষদের অনেকেই আপনার সাথে ভুল করতেই পারে, তাই বলে সবাইকে দূরে ঠেলে দেয়াটা ঠিক না। আপনাকে ক্ষমা করা শিখতে হবে। মনে রাখবেন ভুল মানুষেই করে, আরেকবার সুযোগ দিন। আপনার ক্ষমা সুন্দর মানসিকতা আপনার পাশের মানুষের আচরণ বদলে দিতে সাহায্য করবে।
অতএব, উপরের সব টিপস মেনে চলুন, ভেবে দেখুন পাশের মানুষটি আপনার কাছে কি চায়। সে আপনার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি তাকে কতোটা সন্তুষ্ট করতে পারছেন। কিংবা আপনার দেয়া সময়ের সঠিক মর্যাদা সে দিচ্ছে কিনা। সব কিছু বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন আপনি তার জন্য কতোটা করবেন। এই বিষয় সমুহের উত্তর আপনি যদি পেয়ে যান আশাকরি পাশের মানুষের সাথে সম্পর্ক আপনার প্রয়োজনেই আপনি ভালো রাখবেন।