দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয় নিখোঁজ বিমানটির খোঁজ এখনও মেলেনি। রহস্য জট না খুললেও নিখোঁজ বিমানটি তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিভ্রান্তি, উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যে কেটে গেছে ১০টি দিন। কিন্তু কোনই কুল-কিনারা করতে পারেনি মালয়েশীয়ান নিখোঁজ বিমানের। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ মেলেনি যে আসলে বিমানটির ভাগ্যে কি ঘটেছে। তবে দশমদিনে সোমবার জানা পাওয়া গেছে নতুন এক তথ্য আর তা হলো, ককপিট থেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সর্বশেষ সহ-পাইলটই কথা বলেছিলেন। সে সময় সর্বশেষ বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি’। কিন্তু এ কথা বলার আগেই বিমানের যোগাযোগের একটি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার আরেকটি নতুন তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন তদন্তকারীরা। আর তা হচ্ছে, বিমানটি হয়তো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যবর্তী তালেবান নিয়ন্ত্রিত কোন এক এলাকায় অবস্থান করছে। এমন ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। যদিও এর পক্ষে অকাট্য কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেননি। তবে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, নিখোঁজ বিমানটি হয়তো উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু এলাকা ও আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে গঠিত তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবস্থান করতে পারে। ওই স্থানের ওপর দুই দেশের সরকারেরই কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর ওই এলাকায় তল্লাশি করতে মালয়েশীয় সরকার কূটনৈতিক অনুমতিও নাকি চেয়েছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশীয় বোয়িং কোম্পানির তৈরি ৭৭৭ মডেলের অত্যাধুনিক এই বিমানটি ৭ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতের শুরুতে শনিবার ১২টা ৪০ মিনিটে মালয়েশীয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিমানটিতে ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিল। বিমানটি চীনের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬ টায় বেইজিং বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু পথিমধ্যেই গায়েব হয়ে যায় ওই বিমানটি। যা নিয়ে সমগ্র বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন।