দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক Scott Taylor ভুগছেন গুরুত্বর মানসিক এবং শারীরিক সমস্যায়। তাকে তার মাথায় এমন ভাবে আঘাত করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে Scott Taylor এর মাথায় ভয়াবহ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের Wellington এর বাসিন্দা ৪২ বছরের Scott Taylor ২০১২ সালে এক রাতে বারে গিয়েছিলেন, সেখানে তাকে বার থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হলে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে দায়িত্বে থাকা Hotchkiss নামের ৩৩ বছরের একজন সজোরে টেইলরের মাথায় আঘাত করে। এই আঘাত এতোই গুরুত্বর ছিলো যে, তাৎক্ষণিক টেইলর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং চেতনা হারিয়ে ফেলেন।
পরে টেইলরকে স্থানীয় হাসপাতালে আনা হলে, ডাক্তার দ্রুত তার চিকিৎসা করেন এবং বলেন টেইলর স্থায়ী ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। তিনি আর কখনোই কোন কিছু স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করতে পারবেন না, একা হাটতে-চলতেও পারবেন না।
তবে চিকিৎসকরা টেইলরের মাথার গুরুত্বর আঘত সামাল দিতে তার পাকস্থলী থেকে বিশেষ চর্বি নিয়ে মাথায় প্রতিস্থাপন করেছেন। কিন্তু এতেও টেইলরের মাথার খুলির টেপ খাওয়া অংশ স্বাভাবিক হবেনা। ডাক্তার জানান টেইলরের আঘাত এতোটাই গুরুত্বর ছিলো যে তাকে বাঁচিয়ে রাখাটাই অনেক কঠিন ছিলো।
এদিকে টেইলরকে আঘাত করা Hotchkiss কে আদালত এই ঘটনার জন্য ১৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। ইতোমধ্যে Hotchkiss এর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু টেইলর তার স্বাভাবিক জীবনে এখনো ফিরতে পারেনি।
টেইলরের মেয়ে ক্রিস্টি বলেন, “আমার বাবা আর কখনোই স্বাভাবিক হতে পারবেন না, তিনি কিছুই নিজে নিজে করতে পারেন না, হাটা চলা, উঠে বসা, খাওয়া কোন কিছুই না। অথচ কিছুদিন আগেও আমার বাবা স্বাভাবিক ছিলেন। এতো কম বয়সে আমার বাবার এই পরিণতি আমরা মেনে নিতে পারছিনা।”
সূত্রঃ মিরর ইউকে