দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারা জীবন সৌদি আরবে জেদ্দার রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে কাটানো আইশা প্রায় শত বছর বয়সে মারা গেছেন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর পাওয়া গেছে তার অঢেল সম্পদের সন্ধান।
অনেক ভিখারি আছেন যাদের সম্পদ একজন সাধারণ ধনী থেকে কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু নিতান্ত নিজেদের মানসিকতার কারণেই তারা ভিক্ষা করেন। ঠিক এরকম এক নারী যার নাম আইশা। তিনি তার সারা জীবন ভিক্ষা করে কাটিয়েছেন। তার মা এবং বোনও ভিক্ষা করতেন। খুব ছোট বেলা থেকেই আইশা মায়ের হাত ধরে সৌদির রাস্তায় ভিক্ষা করতে নামেন। যদিও আইশা ভিক্ষুক ছিলেন, তবে তার সম্পদের হিসেব জানলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না।
আইশার সম্পদের মোট মূল্যমান ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮০ মার্কিন ডলার, যার বাংলাদেশি টাকায় মূল্য মান ৮কোটি ২৯লাখ ৫৮হাজার টাকা। আইশার সম্পদের মাঝে রয়েছে জেদ্দা শহরে তার নিজের চারটি বাড়ি, সোনার গহনা, সোনার কয়েন। এছাড়া তার কাছে জমানো ছিলো ১০ লাখ সৌদি রিয়াল।
আইশার এক পালক সন্তান রয়েছে, যার নাম সায়েদি। সায়েদি জানিয়েছে, তার পালক মা তাকে মারা যাওয়ার সময় বলে গেছেন সকল সম্পত্তি সাধারণ দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। এই বিষয়ে আইশা একটি উইলও রেখে গেছেন সায়েদির নিকট। তবে সৌদি প্রশাসন এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা এখনো নেয়নি।
আইশার সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায় যখন তার মা বোন মারা যায় এবং নিজেদের সম্পদ আইশাকে দিয়ে যায়। আইশা কখনও বেঁচে থাকতে নিজের সম্পদ অপচয় করেন নি। এবং কাউকে বলতেন না তার কি পরিমাণ সম্পদ আছে। সায়েদি জানায়, আইশা কোটিপতি বিষয়টি তিনি জানতে পেরে পালক মাকে ভিক্ষা ছেড়ে দিতে বললেও আইশা তা করেন নি।
এদিকে আইশার বাড়ি সমূহের ভাড়াটিয়া দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আইশা কখনোই কারো কাছে ভাড়া চাইতেন না। এসব বাড়িতে সাধারণ দরিদ্রদের আইশা থাকতে দিতেন। এদিকে বর্তমানে আইশার কোন স্বজন না থাকাতে তার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বৈভব কি করা হবে সেই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি জেদ্দার প্রশাসন।
সূত্রঃ আরব নিউজ